ভালো ফলনেও কৃষকরা শঙ্কিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে

ভালো ফলনেও কৃষকরা শঙ্কিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে

ঢাকা, ১৪ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : আমন চাষে মৌসুমের শুরুতে সেচ নিয়ে কিছুটা দুঃচিন্তা থাকলেও, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতে রাজশাহীর কৃষকদের মাঝে এখন প্রশান্তির হাসি।

কৃষি বিভাগ এর মতে, অনুকূল পরিবেশ আর পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় গেল বছরের তুলনায় এবছর ধানের আবাদ বেড়েছে ৭ শতাংশ। লক্ষ্য অর্জনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন তারা। এদিকে ভালো ফলনের আশায় কৃষকরা বুক বাঁধলেও শঙ্কিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে। মধ্য-স্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম বন্ধে ব্যবস্থা ও সরকারীভাবে ধান ক্রয়ে প্রকৃত কৃষকের অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি তাদের।

কপালে চিন্তা রেখা নিয়ে তপ্ত রোদে সেচের পানিতে আমনের রোপণ শুরু করেছিলো কৃষক। যদিও স্বল্প সময়েই ক্ষেতের তৃষ্ণার্ত বুক ভিজিয়েছে শ্রাবণ ও ভাদ্রের বৃষ্টি। তাতেই বিস্তৃত দিগন্তে ছড়িয়েছে ধানের সবুজ সতেজতা। অনুকূল পরিবেশ থাকায় গেল বছরের মত নেই পচন, কারেন্ট পোকা ও পাতামরা রোগের প্রকোপ। সবমিলিয়ে ভালো ফলনের আশায় কৃষকের মুখে চওড়া হাসি।

কৃষকরা জানান, বৃষ্টি হওয়ায় আর পানি দিতে হয়নি। ফলন ভাল হবে। সেই সাথে ক্ষেতে পোকা-মাকড়ও লাগে নেই।

ফি বছরের মতই ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে সংশয়ে কৃষক। তারা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম বন্ধ আর প্রকৃত কৃষকরা সরকারিভাবে ধান বিক্রি করতে না পারলে ভালো ফলনেও হাপিত্যেশ কমবে না; বৈকি বাড়বে।

কৃষকরা জানান, সরকার যদি বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে না কেনে, কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে, তাহলে কৃষক লাভবান হবে।

অন্য আরেক কৃষক জানান, সরকার যদি সরাসরি আমাদের থেকে ধান ক্রয় করলে আমরা লাভ করতে পারবো। যদি হাট থেকে ক্রয় করেন, তাহলে আমরা লাভবান হতে পারবো না।

আর ফলনে পূর্ণতা দিতে আমন চাষের বাকি সময় গুলোতে এলাকা ভেদে কৃষককে সহায়তা দেয়া হচ্ছে জানালেন রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালী।

তিনি বলেন, আলোর ফাঁদ দিয়ে আমরা কি কি পোকা মাঠে এখনো আছে, সেটাকে শনাক্ত করছি। এবং পোকা দমনের স্থানীয় কৃষি অফিসারদের নিয়ে আমরা সব সময়ই মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর ৭৫ হাজার ১’শ ৬৬ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে, যা গেল বছরের তুলনায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর বেশি। এর থেকে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিকটন।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/এমজে/১৩১০ঘ.)