ঢাকা, ৮ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মুলা। তবুও ক্রেতা নেই। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা এক বস্তা (৬০ কেজি) মুলা বিক্রি করছেন একশ টাকা দামে। এ চিত্র ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন বাজারের।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। ইতোমধ্যে ৩ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে এককভাবে মুলার চাষ হয়েছে প্রায় ৫শ হেক্টর।
সদর উপজেলার বিমানবন্দর, গিলাবাড়ী, মরিচপাড়া এলাকায় মুলাচাষিরা বিক্রয়ের জন্য গ্রাহক না পাওয়ায় মুলাসহ জমিতে হাল দিচ্ছেন।
মরিচপাড়া এলাকার সুমন আলী বলেন, এক একর জমিতে মুলার চাষ করেছি, ফলনও ভালো হয়েছে। প্রথমে দাম কিছুটা ভালো থাকলেও বর্তমানে ২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি করতে না পেরে মুলাসহ জমিতে হাল দিচ্ছি। ওই জমিতে এখন আলুর চাষ করব।
তিনি আরো বলেন, কষ্ট করে চাষ করে উৎপাদিত ফসলের সঠিক দাম পাচ্ছি না। এভাবে চলতে থাকলে চাষি টিকে থাকতে পারবে না।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির ফলন ভালো হচ্ছে। একই সঙ্গে সব সবজি বাজারে আসায় মুলার দাম কম পাচ্ছে চাষিরা। তবে চাষিরা যদি পরিকল্পনা করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সবজির চাষ করে তা হলে লাভবান হতে পারবে।
(জাস্ট নিউজ/এমআই/১১৩৭ঘ.)