ভোলাহাটে রেশমের বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি

ভোলাহাটে রেশমের বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ৩ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : রেশম, আম আর লাক্ষার জন্য বিখ্যাত ভোলাহাট উপজেলা। একসময় এ তিন ফসলে উপজেলার অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে লাক্ষা চাষ অনেক কমে গেছে। রেশমের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

দেশের বাইরে থেকে রেশম আমদানি হওয়া, প্রকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়ে রেশমের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় রেশমচাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েন। ফলে অনেকই রেশম চাষ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রেশমচাষিরা এখনো পুরনো পেশা আঁকড়ে ধরে রেশম চাষের ওপর নির্ভরশীল হয়ে আছেন। এখন উপজেলায় মোট বসনী ১৬৫ জন।

রেশম বোর্ড ভোলাহাট জোন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বন্যায় তুঁত জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তুঁতের জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চাষিরা চরমভাবে ক্ষতির মুখে পড়েন। ফলে ১৪ হাজার রেশম ডিম বসনীদের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। ৭ হাজার রেশম ডিম ৭০ জন বসনীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে অগ্রহায়ণী/১৪৪২ বন্দে। এ বন্দে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকা এবং নিয়মিত রেশমচাষিদের ঘরে ঘরে গিয়ে স্থানীয় রেশম বোর্ডের জেলা রেশম সম্প্রসারণ সহকারী পরিচালক কাজী মাসুদ রানা, হিসাবরক্ষক সাইফুল ইসলাম, ফার্ম ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন, রেশম প্রতিপাদক অলিউল হকসহ অন্যরা পরামর্শ দেয়ায় চলতি বন্দে বাম্পার রেশমের ফলন সম্ভব হয়েছে।

এ ব্যাপারে রেশমচাষি সামিরুদ্দিন, তোফাজ্জুল হোসেন, নবী-উল ইসলাম নবী জানান, অগ্রহায়ণী/১৪৪২ বন্দে রেশমের বাম্পার ফল হয়েছে।

গত বছরের এ বন্দে প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ে সর্বস্ব হয়ে পড়ে ছিলেন উপজেলার রেশমচাষিরা। এ বন্দে বন্যার কারণে তুঁত জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক বসনী রেশম চাষ করতে পারেনি। তবে যেসব বসনী রেশম চাষ করেছেন তারা সবাই বাম্পার ফলন পেয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রেশম সম্প্রসারণের সহকারী পরিচালক কাজী মাসুদ রানা জানান, এ ধারা অব্যাহত থাকলে আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে রেশমের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে রেশমচাষিরা দ্রুত নিজেদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে পারেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৪৫ঘ.)