চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে রাতভর সংঘর্ষ, আহত ১১

চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে রাতভর সংঘর্ষ, আহত ১১

চবি, ২ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক দুই পক্ষে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের ১১ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে থেকে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিবদমান দুই পক্ষ ছাত্রলীগের বগি ভিত্তক সংগঠন ‘সিক্সটি নাইন’ এবং ‘চুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার’ (সিএফসি)। এদের মধ্যে ‘সিক্সটি নাইন’ নগরীর মেয়র আজম নাসিরের অনুসারী এবং ‘সিএফসি’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহীবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসাবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রনি, সমাজতত্ত্ব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমিন, সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের তুষার রায়, একই বিভাগের অমিত, ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের প্রথম বর্ষের শুভ, ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আরিফুল ইসলাম, ফয়সাল। পদার্থবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শফিকুল ইসলাম শাওন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সাব্বির, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নিশান, লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আজিম রনি। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

তবে এদের মধ্যে আল-আমিন এবং আরিফের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সিএক্সটি নাইনের রনি নামের এক কর্মী তার বান্ধবীকে নিয়ে বসে ছিলেন। এ সময় সিএফসির কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে মারধর করে। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে রাতে শাটল ট্রেন আসার পর সিএক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকে।

অন্যদিকে শাহ আমানত হলের সামনে জড়ো হন সিএফসির কর্মীরা। পরে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকবার তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যেকোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

চবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আক্তারুজ্জামান জানান, ‘ছাত্রলীগের উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হলে আমরা ছত্রভঙ্গ করে দেই। এ সময় ১১ জন আহত হয়। তাদেরকে মেডিক্যাল সেন্টারে পাঠানো হয়।’

(জাস্ট নিউজ/এমজে/১৪৪০ঘ.)