জামিন পেলেন অরিত্রীর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনা

জামিন পেলেন অরিত্রীর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনা

ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ এই আদেশ দেন।

নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় মামলাটি করেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী। ওই মামলায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে ৫ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানায় পুলিশ। তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। মামলাটি তদন্ত করছেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।

হাসনা হেনার পক্ষে জামিনের আবেদন করে আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকার আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে এই শ্রেণিশিক্ষকের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আসামি হাসনা হেনা পরিস্থিতির শিকার। তাকে জামিন দেওয়া হলে তিনি পালাবেন না। তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন না।

ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির এক জরুরি সভায় ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আখতার ও অরিত্রীর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে বরখাস্ত করা হয়।

মামলায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ করেন, পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রী মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। অরিত্রীর বাবা ও মা মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যান। সেখানে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করেন এবং কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। সেই সঙ্গে মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাসায় গিয়ে দিলীপ অধিকারী দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

অরিত্রীদের শান্তিনগরের বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ৩ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসকেরা অরিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা এই ঘটনার যথাযথ বিচার দাবি করেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৪৫ঘ.)