জাবিতে ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক হল, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

জাবিতে ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক হল, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

পবিপ্রবি, ৩ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কয়েকটি আবাসিক হলে ছাদের পলেস্তরা খসে পরায় আতঙ্কে রয়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে আল বেরুনী হল, মীর মশাররফ হোসেন হল, ফজিলাতুননেসা হল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরছে।

এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় (১৯৬৯ সালে) নির্মিত আল বেরুনী হল এবং ১৯৭৩ সালে নির্মিত মীর মশারফ হোসেন হল অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। নির্মাণের পর হল দু’টি এ পর্যন্ত যথাক্রমে ৪৭ বছর ও ৪৪ বছর ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হল দু’টির বৃষ্টির দিনে পানি পড়ায় দেয়ালগুলোতে শেওলা ধরেছে, রুমগুলো স্যাঁতস্যাতে হয়ে আছে, বিভিন্ন স্থানে ছাদের পলেস্তরা খসে পরছে। প্রায় প্রতিটি ফ্লোরেই ছাদের বেহাল অবস্থা। চারতলা বিশিষ্ট এই দুই হলেরই চতুর্থ তলায় ছাদের প্রায় প্রত্যেক জায়গায় ফাটল ধরেছে।

প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে ছাদ ভেঙ্গে পরছে। এতে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকায় আতঙ্কে রয়েছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এদিকে ১৯৮৭ সালে যাত্র শুরু হলেও মাত্র ৩০ বছরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে ছাত্রীদের জন্য নির্মিত ফজিলাতুননেসা হল। বিভিন্ন স্থানে ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পরায় ছাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শিক্ষার্থীরা মনে করেন, অযত্ম-অবহেলা আর নির্মাণ কাজে ত্রুটি থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে হলগুলো।

এদিকে ভবন সংস্কারের জন্য একাধিকবার প্রশাসনের কাছে বলেও কোনো সুফল হয়নি বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের সাবেক শিক্ষার্থী প্রিতম আজিম জানান, প্রতিদিন হলের ছাদ খুলে খুলে পড়ছে। আমার ছাত্রকালীন তিন জন প্রভোস্ট হলের দায়িত্ব পালন করলেও কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি। এছাড়া হলে মশা ও সাপ নিধনে প্রশাসন কখনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শফী মো. তারেক প্রকৌশল বিভাগকে অভিযুক্ত করে বলেন, হলের অবস্থা পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রকৌশল বিভাগে পাঁচবার চিঠি দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। আমি বিষয়গুলো নিয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, ভবনগুলো সংস্কারে বড় অংঙ্কের বরাদ্দ প্রয়োজন। কয়েকটি ভবন বেশ পুরাতন হওয়ায় সংস্কার সম্ভব কি না তা জানা দরকার। হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/২৩০৫ঘ.)