ঢাবি, ১৯ এপ্রিল : ছাত্রী নিপীড়নকারী ইফফাত জাহান ইশাকে মারধর ও গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রীসহ কবি সুফিয়া কামাল হলের ২৪ ছাত্রীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। এদের মধ্যে এমন এক ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয় যিনি ঘটনার রাতে ভারতে ছিলেন বলে জানান সদ্য বহিষ্কৃত হওয়া সুফিয়া কামাল হলের প্রতিষ্ঠাকালীন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রীর ভারত থাকার তথ্যপ্রমাণ নিয়ে হাজির হন মুন। তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায়, বহিষ্কৃত মুনিরা শারমিন নামের এক ছাত্রী ঘটনার রাতে ভারতে ছিলেন। ১০ এপ্রিল দিবাগত রাতের হলের সংগঠিত ঘটনার আগেই তিনি ভারত পৌঁছেন।
এদিকে, আরো এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয় যিনি ঘটনার আগ থেকেই ভাঙা হাত নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন বলে দাবি করেন মুন।
সংবাদ সম্মেলনে ২৪ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশকে অগঠনতান্ত্রিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন মুন।
সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির বিভিন্ন দুর্বলতা তুলে ধরে ছাত্রলীগ নেত্রী মুন বলেন, তথাকথিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ এই তদন্ত কমিটি আমার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগই করেনি। পাশাপাশি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে- তাও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়। কারণ বহিষ্কৃতদের মধ্যে অনেকের ক্ষেত্রে পুরো নাম উল্লেখ করা হয়নি। অনেকের বিভাগ ভুল রয়েছে। তাহলে তারা কি তদন্ত করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে?
তিনি আরো বলেন, যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে এদের একজন ঘটনার দু’দিন আগে দেশ ত্যাগ করেন, একজনের ঘটনার ১০ দিন আগে হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ২ সপ্তাহ ডাক্তার রেস্টের পরামর্শ দেন। তাহলে তারা কিভাবে ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে? তিনি প্রশ্ন রাখেন, কমিটি ঠিকভাবে তদন্ত করলে বহিষ্কৃতদের পূর্ণ নাম না লেখা এবং কয়েকজনের বিভাগ ভুল লেখার কারণ কি?
(জাস্ট নিউজ/একে/০০০৮ঘ.)