যৌন হয়রানি : জবির সেই শিক্ষক এবার বরখাস্ত

যৌন হয়রানি : জবির সেই শিক্ষক এবার বরখাস্ত

জবি, ৩০ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়টি প্রমাণ পেয়েও এক শিক্ষককে শুধু তিরস্কারের শাস্তি দেওয়ার পর প্রতিবাদ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে আগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে পুনরায় তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

নিজ বিভাগের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়টি তদন্তে প্রমাণ পাওয়ায় নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হালিম প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গত ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭ তম সিন্ডিকেট সভায় দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ‘অরপাধের’ জন্য ওই শিক্ষককে শুধু তিরস্কার ও দুই বছরের জন্য পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্ত জানার পর বিক্ষোভ শুরু করেন।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। তিনি বলেন, আবদুল হালিম প্রামাণিকের শাস্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭ তম সিন্ডিকেটে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ১১(১০) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে স্থগিত করা হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, আবদুল হালিম প্রমাণিকের বিরুদ্ধে আরো কিছু অভিযোগ এসেছে। তাই আগের ও পরের অভিযোগ পুনরায় তদন্ত করতে বিজনেস স্টাজিড অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শওকত জাহাঙ্গীরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. ফরিদা আক্তার খানম এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন। এ ছাড়া অভিযোগকারীদের সুপারিশে একজন অধ্যাপক এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের সুপারিশ মতে একজন অধ্যাপক কমিটিতে থাকবেন।

পুনরায় করা তদন্ত প্রতিবেদন কবে জমা হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, নতুন কমিটিকে সব বিষয় ও তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা দিতে বলা হয়েছে। পুনরায় তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. মো. আবদুল হালিম প্রমাণিক সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা ছয়টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো, পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন, অভিযুক্ত শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, দুই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখানো ও হয়রানি বন্ধ করা, নিপীড়নকারীর যোগদান স্থগিত রাখা, সব ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আগামী মাসের ৩ তারিখের মধ্যে প্রশাসনের সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রদান।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৪৪ঘ.)