কোটার শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে ভিকারুননিসায় তুলকালাম

কোটার শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে ভিকারুননিসায় তুলকালাম

ঢাকা, ২৯ জুন (জাস্ট নিউজ) : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কোটার শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে তুলকালাম ঘটেছে। বোর্ড থেকে পাঠানো কোটার শিক্ষার্থী স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ভর্তি করতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে ভর্তি নিলেও তাদের মূল ক্যাম্পাসের পরিবর্তে অন্য শাখায় ক্লাসের জন্য শিফট করার ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেন।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী চলতি বছর কলেজের সব আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। তৃতীয় তালিকা থেকে কোটার শিক্ষার্থী আলাদাভাবে পাঠানো হয়। কিন্তু তাদের অতিরিক্ত আখ্যা দিয়ে প্রথমে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তি করাতে চায়নি। বৃহস্পতিবার ভর্তির শেষ দিন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অনেকে বোর্ডে গিয়ে অভিযোগ জানায়। পরে বোর্ডের চাপে ভর্তি করা হলেও মূল ক্যাম্পাসে রাখা হবে না বলে কলেজ থেকে জানানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, এরপরই তারা ফুঁসে ওঠে। বিক্ষোভ করে। তারা জানায়, আমরা ভর্তি হয়েছি মূল ক্যাম্পাসে অথচ বসুন্ধরায় ক্লাস করতে বলা হচ্ছে। আমরা তা মানব না। মূল ক্যাম্পাসে আমাদের রাখতে হবে। প্রয়োজনে সবাই মিলে আন্দোলন করব।

এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, নির্ধারিত আসনের চেয়ে অতিরিক্ত ১৩৮ শিক্ষার্থীকে বোর্ডের তালিকায় মনোনীত করা হয়েছে। মূল ক্যাম্পাসে এসব শিক্ষার্থীকে বসতে দেয়া অসম্ভব। তাই অতিরিক্তদের ভর্তিতে আপত্তি জানানো হয়। কিন্তু বোর্ড থেকে ভর্তি করতে বলায় তাদের ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যে শাখায়ই হোক তা তো ভিকারুননিসা। তাই সেখানে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে আপত্তি থাকার কথা নয়। প্রতি বছর আমরা একটি বা দুটি সেকশন চালু করে থাকি। এবারও তাদের জন্য বসুন্ধরা শাখায় বাড়তি দুটি রুমের একটি সেকশন বাড়ানো হবে।

তবে অভিভাবকরা বলছেন, তারা সন্তান ভর্তি করেছেন ভিকারুননিসার মূল ক্যাম্পাসে। ক্লাসও সেখানে করানোর কথা। কিন্তু তাদের সন্তান বসুন্ধরা শাখায় পাঠানো হচ্ছে। বসুন্ধরা নতুন শাখা, সেটার অনুমোদন নেই। ভালো কোনো শিক্ষকও নেই সেখানে। তাই তারা সেখানে যেতে চাচ্ছেন না।

টেলিফোনে কয়েকজন অভিভাবক জানান, অধ্যক্ষ শনিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছে। এর মধ্যে যদি আমাদের সন্তানদের মূল ক্যাম্পাসে সুযোগ দেয়া না হয়, তবে আবারো আন্দোলন শুরু করা হবে।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ বলেন, বসুন্ধরা শাখার অনুমোদন রয়েছে। এটি আমাদের চারটি শাখার একটি। তাই সেখানে তাদের শিফট করা হবে। শনিবার এ বিষয়ে সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২০০ঘ.)