ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগের হামলা সম্পর্কে প্রক্টর ‘জানেন না’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগের হামলা সম্পর্কে প্রক্টর ‘জানেন না’

ঢাকা, ২ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলা সম্পর্কে ‘অবহিত নন’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী। সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রক্টর।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর সোমবার সকালে আবার হামলা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালান। তাদের কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু, স্কুলছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, মহসীন হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানিসহ বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে।

গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনেও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

আজ এবং গত কয়েক দিনের হামলা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, এসব বিষয়ে তিনি অবহিত নন। বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ সময় যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার অবরুদ্ধ করে কর্মসূচি দিয়েছে তাদের সম্পর্কেও আপনাদের জানতে হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীরা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে কি না, এই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি প্রক্টর।

গত শনিবার সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় ব্যাপক মারধরের শিকার হন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী। এই হামলার জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ ও বিচারের দাবিতে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে অপরাজেয় বাংলার সামনে মানববন্ধন করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকও। তারা সেখানে ১০ মিনিটের মতো অবস্থান নেন।

মানববন্ধনে শিক্ষক তাসলিম মাহমুদ বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা নিরপেক্ষভাবে মত প্রকাশ করতে পারুক।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪৪২ঘ.)