খালি পায়ে প্রতিবাদ, রাবির সেই শিক্ষক অবরুদ্ধ

খালি পায়ে প্রতিবাদ, রাবির সেই শিক্ষক অবরুদ্ধ

রাবি, ৩ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে খালি পায়ে প্রতিবাদের ডাক দেয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ খানকে নিরাপত্তার কারণে একটি কক্ষে আটকে রেখেছেন সহকর্মীরা। ফরিদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাকে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কেবিএম মাহবুবুর রহমানের কক্ষে আটক রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ফেসবুকে খালি পায়ে প্রতিবাদের ডাক দেন ফরিদ খান। এর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বিভাগে আসেন। সেখান থেকে তার জোহা চত্বরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান অর্থনীতি বিভাগে এসে ফরিদ খানকে বিভাগের বাইরে যেতে নিষেধ করেন। পরে তাকে বিভাগীয় সভাপতির রুমে নিয়ে আটকে রাখা হয়।

অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কেবিএম মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমের কাছে ফরিদ খানকে আটকে রাখার কথা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, এখন বিষয়টি খুবই জটিল হয়ে গেছে। তাই নিরাপত্তার জন্য তাকে আটকে রাখা হয়েছে।

এদিকে খালি পায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে না পারলেও ফরিদ খানের আহ্বানে কয়েকশ শিক্ষার্থী জোহা চত্বরে খালি পায়ে মানববন্ধন করছেন। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও অংশ নেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকে সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথার সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা করছে।

গত রবিবার ও সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ।

এর মধ্যে সোমবার জাতীয় পতাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলায় চারজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

হামলার ঘটনার ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে সরব হন শিক্ষক ফরিদ খান। তিনি ঘোষণা দেন- ‘দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং লাঞ্ছনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার নগ্নপদে অফিসে যাব। বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত জোহা স্যারের মাজারে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করব।’

প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফরিদ খান লেখেন- ‘খালি হাতে, নগ্ন পায়ে এবং নীরবে যে কেউ যোগদান করতে পারেন। কোনো স্লোগান না, ফেস্টুন না, বক্তৃতা না- না কোনো রাজনীতি। এই নগ্ন পায়ে নীরব প্রতিবাদ বোঝাবে আমরা আর সভ্যসমাজের নাগরিক নই, যেখানে বাকস্বাধীনতা আছে, যেখানে ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদের সুযোগ আছে।’

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪০০ঘ.)