নিরাপদ সড়ক : মাঠে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও

নিরাপদ সড়ক : মাঠে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও

ঢাকা, ৫ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশে ঢাকার জিগাতলা এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিক্ষোভকারিদের উপর পুলিশের দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং লাঠি পেটার ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সেখানে পুলিশের সামনে হেলমেট মাথায় দিয়ে একদল যুবক লাঠি এবং কিরিচ দিয়ে বিক্ষোভকারিদের পেটানোর পাশাপাশি সাংবাদিকদের উপরও হামলা করেছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে এই আন্দোলনের অষ্টমদিনে বিক্ষোভগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল। স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল কম।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের এই কয়েক দিনের মধ্যে রবিবার ঢাকার রাস্তায় পুলিশকে মারমুখী দেখা গেছে।

জিগাতলা এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিক্ষোভকারিদের উপর পুলিশকে দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে দেখা যায়।

দুপুরে বিক্ষোভকারিরা শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে জিগাতলা মোড়ে যখন আসে, তখন দেখা যায়, পুলিশ মিছিলের সামনে এবং পিছনে দুই পাশ থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।

তখন বিক্ষোভকারিরাও ইটপাটকেল ছোড়ে।

তবে পুলিশের মারমুখী আচরণে বিক্ষোভকারিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বিক্ষোভকারিরা আবারো সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়ে জড়ো হয়ে জিগাতলার দিকে এগুনোর চেষ্টা করে। পুলিশ আবারো কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারিদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সেসময় পুলিশের পাশাপাশি হেলমেট মাথায় দেয়া একদল যুবককে লাঠি এবং কিরিচ দিয়ে বিক্ষোভকারিদের পেটাতে দেখা যায়।

বিক্ষোভকারিরা রাস্তা থেকে হটে গেলে পুলিশের পাশাপাশি লাঠি হাতে যুবকদেরও পুরো ঐ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়।

তারা সাংবাদিকদের উপরও হামলা করে।তাদের হামলায় কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছে।

এদিকে, পুলিশ এবং হেলমেট পরা যুবকদের বাধায় বিক্ষোভকারিরা ধানমন্ডি এলাকার বিভিন্ন গলিতে এবং আশের ভবনে আশ্রয় নেয়।

এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে এবং অংশগ্রহণে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ছিলেন। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও ছিলেন।

স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন নেমেছেন? এই প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, জিগাতলায় শনিবার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে তারা এই বিক্ষোভ করেন।

রবিবার বিকালে ঢাকার জিগাতলা মোড় থেকে ঐ রাস্তায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায়।

ট্রাফিক পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দেন।

তিনি বলেছেন, “আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছেন। তার মানে এই নয় যে, তারা অরাজকতা করতেই থাকবে, আর আমরা বসে বসে দৃশ্য দেখবো। মোটেই নয়। আমাদেরও ধৈর্যের সীমা রয়েছে। সেটা অতিক্রম করলে আমাদের ব্যবস্থা আমরা অবশ্যই নেবো।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির নেতাদের অনেকের বক্তব্যেও এখন কঠোর অবস্থান নেয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২২৩০ঘ.)