বাড়িতেই শিশুর ডায়রিয়ার চিকিৎসা

বাড়িতেই শিশুর ডায়রিয়ার চিকিৎসা

ঢাকা, ৫ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : বাড়িতে শিশুর ডায়রিয়ার চিকিৎসায় চারটি বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।

১. বারবার তরল খাবার।
* ঘন ঘন বুকের দুধ দিন।
* শিশুর বয়স ছয় মাসের নিচে হলে বুকের দুধের পাশাপাশি ওরাল স্যালাইন বা নিরাপদ পানি দিন।
* শিশুর বয়স ছয় মাসের ওপর হলে এক বা একাধিক তরল খাবার খেতে দিন: যেমন ওরাল স্যালাইন, ভাতের মাড়, চিড়ার পানি ইত্যাদি।
* প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর স্বাভাবিক তরল খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত খাবারের পরিমাণ:
দুই বছর পর্যন্ত: ৫০ থেকে ১০০ মিলি।
দুই বছর বা বেশি: ১০০ থেকে ২০০ মিলি ।
* শিশু বমি করলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর আবার ধীরে ধীরে খাবার দিন।
* ডায়রিয়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত তরল খাবার চালু রাখুন।

২. জিংক বড়ি
* জিংক বড়ি ডায়রিয়ার তীব্রতা ও স্থায়িত্ব দুটোই কমায়। ডায়রিয়া শুরুর দিন বা পরদিন থেকেই জিংক শুরু করা যায়।
* দুই মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত: এক বড়ি (১০ মিগ্রা) প্রতিদিন, ১০ দিন।
* ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত: এক বড়ি (২০ মিগ্রা) প্রতিদিন, ১০ দিন।

কীভাবে খাওয়াতে হবে:
* ছোট শিশু (যারা চিবিয়ে খেতে পারবে না) তাদের বড়ি বুকের দুধ, ওরাল স্যালাইন বা পরিষ্কার নিরাপদ পানির সঙ্গে মিশিয়ে ছোট কাপ বা চামচ দিয়ে খাওয়ান।
* বড় শিশুরা পানি দিয়ে গিলে অথবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে কাপ বা চামচ দিয়ে খেতে পারবে।
* ডায়রিয়া ভালো হয়ে গেলেও পূর্ণ ১০ দিন জিংক বড়ি খাওয়াতে হবে।

৩. স্বাভাবিক খাবার: ডায়রিয়ার সময় শিশুকে অন্য সব স্বাভাবিক খাবার, মাছ-ভাত ইত্যাদি দিতে হবে।

৪. সঠিক উপায়ে স্যালাইন তৈরি ও সংরক্ষণ। ওরাল স্যালাইন তৈরি করার পদক্ষেপগুলো হচ্ছে:

* সাবান ও পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
* একটা প্যাকেট থেকে সবটুকু পাউডার একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢালুন। হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তাই ব্যবহার করুন। যেমন: কলসি বা বাটি।
* আধা লিটার পরিষ্কার পানি মেপে নিন। সবচেয়ে ভালো হয়, পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নেওয়া।
* পাত্রে পানিটা ঢেলে দিন, পাউডারটা সম্পূর্ণ গলে না যাওয়া পর্যন্ত ভালো করে মেশান।
* পাত্রটা ঢেকে দিন এবং গতকালের স্যালাইন পড়ে থাকলে তা ফেলে দিন। স্যালাইন জ্বাল দেওয়া বা গরম করা যাবে না।

শিশুরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪৩২ঘ.)