শিশুর খেলনা

শিশুর খেলনা

শিশু জন্মের পর তার কাছে সবই নতুন, সবই যেন অদ্ভুত! শিশুর মানসিক বিকাশ, ধ্যান-ধারণা সবকিছুরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার খেলাধুলা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদানের মাধ্যমে।

শিশুর খেলাধুলায় খেলনা একটি বড় বিষয়। শিশুর খেলনা বাছাইয়ে বাবা-মায়ের বিশেষভাবে সচেতন থাকা উচিত। বাবা-মায়ের উচিত শিশুর হাতে এমন সব খেলনা তুলে দেয়া, যেগুলো শিশুকে নতুন কিছু ভাবতে শেখায় এবং তার চারপাশ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

শিশু স্বভাবতই একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত নানা রকমের রঙ বেরঙের খেলনার প্রতি আকৃষ্ট থাকে। আর বাবা-মা ও নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের খেলনা কিনে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই সন্তানের জন্য শখের কেনা খেলনা নিয়েও মাঝে মাঝে ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা।

তাই শিশুর বিভিন্ন খেলনা নিয়ে বাবা মা যেসব বিষয়ে সচেতন থাকতে পারেন তা হলো-

(১) খেলনা কেনার আগে দেখে নিন তা আপনার সন্তানের বয়স অনুযায়ী উপযুক্ত কিনা। অনেক খেলনাতেই বয়সসীমা দেয়া থাকে। সাবধানতার কারণে তাই সেটি দেখে কিনলেই সন্তানের কোন রকম ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে না।

(২) এমন কোন খেলনা শিশুকে কিনে দেবেন না যা দিয়ে শিশুর মধ্যে খারাপ কোন প্রবৃত্তি জেগে ওঠে। তাকে এমন খেলনা দিন যাতে শিশু আনন্দের সাথে কোন কিছু শিখতে পারে। এতে শিশুর মানসিক বৃদ্ধি ভালোভাবে হবে।

(৩) ব্যাটারি চালিত বিভিন্ন খেলনা এখন শিশুদের আকৃষ্ট করে থাকে। কিন্তু এই ব্যাটারি চালিত খেলনা যাতে শিশুর বয়স অনুযায়ী উপযোগী হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে, কোনভাবেই শিশু যেন ব্যাটারি বা এই জাতীয় বস্তু মুখে না নেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

(৪) শিশু যে খেলনা দিয়ে এক জায়গায় বসে খেলতে পারে, তার চেয়ে শিশু যাতে ঘুরে ঘুরে খেলতে পারে এই রকম খেলনা কিনে দেয়া বেশি জরুরি। এতে শিশুর খেলার সাথে সাথে তার শারীরিক বৃদ্ধিও ভালোভাবে হতে পারবে।

(৫) ভাঙ্গা খেলনা কোনভাবেই ঘরে রাখবেন না। শিশুর হাতে ভাঙ্গা খেলনা পড়লে শরীর বিভিন্নভাবে কেটে যেতে পারে। তাই সাবধান থাকুন কোনভাবেই শিশুর আশেপাশে যাতে ভাঙ্গা খেলনা না থাকতে পারে।

(৬) শিশুকে খেলার পর নিজে নিজে খেলনা গুছিয়ে রাখতে দিন। এর মধ্য দিয়ে তার মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ জেগে উঠবে।