ছাত্রলীগের মার খেয়ে ২৯ ঘণ্টা পর পুলিশের মামলা

ছাত্রলীগের মার খেয়ে ২৯ ঘণ্টা পর পুলিশের মামলা

চট্টগ্রাম, ১৪ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : উল্টোপথে মোটর সাইকেল ধরে ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে মার খাওয়ার ২৯ ঘণ্টা পর থানায় মামলা করলো ট্রাফিক পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় সার্জেন্ট মাজহারুল আলম বাদী হয়ে পুলিশের কাজে বাধাদান, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ এনে কোতোয়ালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, এজাহারে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের ধরতে রাতেই অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

ওসি বলেন হামলাকারীরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। তবে তারা ছাত্রলীগের কোনো পদে আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালে রবিবার দুপুর দেড়টায় নগরীর ব্যস্ততম নিউমার্কেট মোড়ে সিটি কলেজের সামনে থেকে উল্টোপথে মোটর সাইকেলে আসছিল এক যুবক। উল্টোপথে হেলমেট ছাড়া আসা ওই যুবকের নাম মেহেরাজ। তাকে থামাতে গিয়ে কনস্টেবল মামুন মিয়া হামলার শিকার হন। মেহেরাজ মুহূর্তে তার বড় ভাইদের ডেকে এনে ওই কনস্টেবলের উপর হামলা করে। তাদের হামলা থেকে নিজেকে রক্ষায় দৌড়ে পুলিশ বক্সে আশ্রয় নেন ওই কনস্টেবল। একপর্যায়ে তারা নিউমার্কেট মোড়ের পুলিশ বক্সে হামলা করে। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের রক্ষায় এগিয়ে আসে কোতোয়ালী থানা পুলিশের টহল দল। এ সময় তারা তাদের উপরও হামলা করে। বেপরোয়া হামলায় আহত হন সার্জেন্ট মাজহারুল আলম, কনস্টেবল মামুন মিয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য।

জানা যায়, হামলাকারীরা সবাই সিটি কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হওয়ায় পুলিশ তাৎক্ষণিক কোন অ্যাকশনে যায়নি। হামলাকারীদের একজনকে আটক করা হলেও তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মককর্তাদের জানালে তারাও নির্বিকার থাকেন। এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মধ্যে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করে। এ প্রেক্ষাপটে গতকাল দুপুরের পর থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে মাঠে নামে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের উপর হামলাকারীদের পরিচয় জানিয়ে তাদের নাম-ঠিকানা দেয় পুলিশকে। হামলাকারীদের মধ্যে মেহেরাজ, আদর, এনাম, বরেন উদ্দিনসহ ছয়জনের নাম পেয়েছে পুলিশ। নিউমার্কেট এলাকায় থাকায় একটি সিসিটিভি ফুটেজ থেকেও ঘটনায় জড়িতদের ছবি সংগ্রহ করে পুলিশ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০৪৬ঘ.)