রিজার্ভ চুরি: ফিলিপাইনের আদালতে সিআইডির ফরেনসিক প্রতিবেদন

রিজার্ভ চুরি: ফিলিপাইনের আদালতে সিআইডির ফরেনসিক প্রতিবেদন

ঢাকা, ৭ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : হাকিংয়ের মাধ্যমেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা চুরি হয়েছে। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ফিলিপাইনের আদালতে জমা দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন ফরেসনিক প্রতিবেদনে। বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদনটি জমা দেয়। সিআইডি’র অর্গানাইজড ও ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরি হয়েছে মর্মে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ফিলিপাইনের আদালতে গত ৫ জুলাই একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফরেনসিক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। যা মামলার সাক্ষ্য হিসেবে কাজে লাগবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডি’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান ফিলিপাইনের আদালতে এই অন্তর্বর্তীকালীন ফরেনসিক প্রতিবেদন দাখিল করেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও।

সিআইডি’র অর্গানাইজড ও ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, রিজার্ভ চুরির বিষয়ে ফিলিপাইনের আদালতে দেশটির আরসিবিসি ব্যাংক ও তার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রিভার্জ চুরির ব্যাপারে রিজাল ব্যাংকের যে সম্পৃক্ততা রয়েছে, তা সিআইডির ফরেনসিক তদন্তে উঠে এসেছে। সে বিষয়টি ফিলিপাইন সরকারকে জানানো হয়। এ কারণে ফিলিপাইন সরকারের করা মামলায় গত ৫ জুন সিআইডি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা ফিলিপাইনের আদালতে সাক্ষ্য দেন। ওই সময় ফিলিপাইনের আদালত হ্যাকের বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির কর্মকর্তা বলেছিলেন, ফরেনসিক এক্সপার্টের মাধ্যমে জানা গেছে যে, হ্যাকড হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি হ্যাকাররা নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০১ মিলিয়ন ডলার ‘হ্যাকিংয়ের’ মাধ্যমে চুরি করে শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের বিভিন্ন ভুয়া অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংক সন্দেহজনক লেনদেন বুঝতে পেরে দুই কোটি ডলার আটকে দেয়। আর ৮১ মিলিয়ন ডলার (আট কোটি ডলার) যায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) চারটি অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে স্থানীয় মুদ্রা পেসোতে রূপান্তরের পর ওই টাকার একটি অংশ চলে যায় দুটি ক্যাসিনোতে। জুয়ার টেবিলে আয় বৈধ করার সুযোগ নিয়ে হাতবদলের মাধ্যমে পাচার হয়ে যায় ওই টাকা। পরে অর্থ পাচারের এ ঘটনায় ফিলিপাইনের প্রশাসনিক জবাবদিহিতা ও অনুসন্ধান সংক্রান্ত সিনেট কমিটি (ব্লু-রিবন কমিটি) গঠন করেছিল।

ওই বছরের ১৯ মার্চ মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের ডিলিং রুম অফিসের যুগ্ম পরিচালক মো. জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। সিআইডির অর্গানাইজড ও ইকোনোমিক ক্রাইম বিভাগের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩৪০ঘ.)