বিশ্ব অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত দিলেন গর্ডন ব্রাউন

বিশ্ব অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত দিলেন গর্ডন ব্রাউন

ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিশ্ব অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত দিলেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। তিনি বললেন, ঘুমন্ত পায়ে বিশ্ব আরো একটি অর্থনৈতিক সঙ্কটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

২০০৯ সালে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দায় যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছিল তার অনেকটা এখনও কোনো সমাধান করা হয় নি। এর জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি বৃদ্ধি করা হয় নি। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল।

এতে বলা হয়েছে, গর্ডন ব্রাউন বুধবার রাতে দ্য গার্ডিয়ানকে এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, যেসব ব্যাংকার আইন লঙ্ঘন করেছেন তাদের মধ্যে জেলে যাওয়ার ভয় নেই। ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির খরচ কমানোর নীতিকে ভুল বলে উল্লেখ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের লেহম্যান ব্রাদার্স ব্যাংক কলাপসড বা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রায় এক দশক পরে এমন সব মন্তব্য করলেন গর্ডন ব্রাউন।

তিনি বলেন, যারা অন্যায় করেছে ওই সময় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানো হয় নি। যেসব ব্যাংকার খারাপ কাজ করেছেন তাদের জেল দেয়া হবে না। তাই তাদের মধ্যে কোনো আতঙ্ক নেই। এমন কোনো জোরালো বার্তাও দেয়া হয় নি যে, যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ম বজায় রাখতে পারবে না তাদেরকে উদ্ধারে এগিয়ে আসবে না সরকার।

গর্ডন ব্রাউন আরো বলেন, আমরা এখন বসবাস করছি ‘নেতৃত্বহীন বিশ্বে’। এর অর্থ হলো আরেকটি অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের বিষয়ে কোনো সমন্বিত উদ্যোগ থাকবে না।

অর্থনৈতিক মন্দার এক দশক পরে তিনি আবারও একটি ‘বিপর্যয়মুলক দশকে’ এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি এমন মন্তব্য করেছেন।

তার ভাষায়, আমরা ভবিষ্যতের আরেকটি সঙ্কটের দিকে ভয়াবহভাবে ঘুমন্ত পায়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এমন সঙ্কটের ঝুঁকি সম্পর্কে আমরা যথেষ্ট সচেতন হলেও বিশ্বে আমরা এখন নেতৃত্বশূন্য।

২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে সমন্বিত একটি উদ্যোগ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ পরবর্তী এমন সঙ্কটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সমস্যা সমাধানের চেয়ে আমরা বেশি একে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চর্চা করবো।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কড়া সমালোচনা করেন গর্ডন ব্রাউন। বলেন, ট্রাম্পে বাণিজ্যিক সংরক্ষণবাদ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা।
শীর্ষনিউজ/এম

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৩৪০ঘ.)