যেভাবে গানের জাদুকর হয়ে উঠলেন আইয়ুব বাচ্চু

যেভাবে গানের জাদুকর হয়ে উঠলেন আইয়ুব বাচ্চু

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : সংগীতের আঙিনা ছেড়ে চিরতরে চলে গেলেন ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেন। সকালে বাসা থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় নেয়া হয় তাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় কিছুক্ষণ আগে তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

বাচ্চুর সংগীতজগতে যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। তার কণ্ঠের প্রথম গান- ‘হারানো বিকেলের গল্প’। গানটির কথা লিখেছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।

১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে তিনি সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘রক্তগোলাপ’ আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। এই অ্যালবামটি তার জীবনে সফলতা বয়ে না আনলেও ১৯৮৮ সালে তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’ তার জীবনে সফলতার দ্বার উন্মোচন করে।

১৯৯১ সালে বাচ্চু এলআরবি ব্যান্ড গঠন করে। এই ব্যান্ড গঠনের পর প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম। এই অ্যালবামের ‘শেষ চিঠি কেন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘হকার’ গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে।

পরবর্তী সময়ে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যান্ড অ্যালবাম ‘সুখ’ ও ‘তবুও’ বের হয়।

১৯৯৫ সালে তিনি বের করেন তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’। সর্বকালের সেরা একক অ্যালবামের একটি বলে অভিহিত করা হয় এটিকে।

একই বছর তার চতুর্থ ব্যান্ড অ্যালবাম ‘ঘুমন্ত শহরে’ প্রকাশিত হয়।

‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’ তার বাংলা ছবির অন্যতম একটি জনপ্রিয় গান। এটি তার গাওয়া প্রথম চলচ্চিত্রের গান।

২০০৯ সালে তার একক অ্যালবাম বলিনি কখনও প্রকাশিত। ২০১১ সালে এলআরবি ব্যান্ড থেকে বের করেন ব্যান্ড অ্যালবাম যুদ্ধ। ছয় বছর পর ২০১৫ সালে তার পরবর্তী একক অ্যালবাম জীবনের গল্প বাজারে আসে।

গিটারে তিনি সারা ভারতীয় উপমহাদেশে বিখ্যাত। জিমি হেন্ড্রিক্স ও জো স্যাট্রিয়ানীর বাজনায় তিনি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত। ঢাকার মগবাজারে ‘এবি কিচেন’ নামে তার নিজস্ব একটি মিউজিক স্টুডিও রয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২৪০ঘ.)