শহীদ মিনারে আইয়ুব বাচ্চু, শেষ শ্রদ্ধায় মানুষের ঢল

শহীদ মিনারে আইয়ুব বাচ্চু, শেষ শ্রদ্ধায় মানুষের ঢল

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের ঢল নেমেছে।

সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে তার লাশ শহীদ মিনারে পৌঁছালে চারপাশের পরিবেশ নিস্তব্ধ হয়ে ওঠে। অনেকেই তাকে শেষ বারের মত এক নজর দেখতে ছুটে আসেন।

মরদেহ আনার পরপরই সেখানে উপস্থিত হন পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা। গত রাতে মরহুমের লাশ রাখা ছিল স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা এসময় উপস্থিতদের শৃঙ্খলায় আনতে হিমশিম খান। সঙ্গীত জগত থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কর্মী, এমনকি সঙ্গীত পিপাসু সাধারণ মানুষের ঢল নামে শহীদ মিনারে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আইয়ুব বাচ্চুর লাশ শহীদ মিনারে রাখা হবে।

শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে এসেছেন কুমার বিশ্বজিৎ, মানাম আহমেদ, শাফিন আহমেদসহ সংগীত ভুবনের অনেক তারকা।

এ ছাড়া রয়েছেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তফা ও শমী কায়সার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আরও কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এসেছেন।

শ্রদ্ধা জানানোর পর শিল্পীর মরদেহ জাতীয় ঈদগাহ মাঠে বাদ জুমা জানাজার জন্য আনা হবে।

আইয়ুব বাচ্চু গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি।

হৃদরোগের কারণে আইয়ুব বাচ্চু গত কয়েক বছর বারবারই হাসপাতালে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। ২০০৯ সালে তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়। দুই সপ্তাহ আগে শেষ তিনি স্কয়ার হাসপাতালে এসেছিলেন।

শিল্পীর ছেলে ও মেয়ে দেশের বাইরে থেকে ঢাকায় ফিরে এলে আগামীকাল চট্টগ্রামে মায়ের পাশে দাফন করা হবে আইয়ুব বাচ্চুকে।

জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। ১৯৭৮ সালে তাঁর যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। আশির দশকে একাধিক একক অ্যালবাম বেরোলেও নব্বইয়ের দশকে ‘ডাবল অ্যালবাম’ দিয়ে এলআরবির যাত্রা শুরু হয়। তখন ব্যান্ডটির নাম ছিল ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরে ব্যান্ডের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ‘চলো বদলে যাই’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হকার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’, ‘বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। সংগীতজগতে তিনি এবি নামে পরিচিত হলেও তাঁর ডাকনাম ছিল রবিন। এ নামেও তিনি নব্বইয়ের দশকে একক অ্যালবাম বের করেন।

(জাস্ট নিউজ/এমজে/১০৩৫ঘ.)