শাহরুখের ১৪ কোটি রুপির সম্পত্তি ক্রোক

শাহরুখের ১৪ কোটি রুপির সম্পত্তি ক্রোক

ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের আলিবাগের বাংলোয় রেজিস্ট্রিভুক্ত 'দেজা ভ্যু' ফার্মস প্রাইভেট লিমিটেডকে প্রাথমিকভাবে ৯০ দিনের জন্য ক্রোক করেছে মুম্বাই আয়কর বিভাগ। এর আগে গত ডিসেম্বরে 'প্রহিবিশন অব বেনামি প্রপার্টি ট্রানজাকশনস অ্যাক্টের আওতায় (পিবিপিটি)' এই ফার্মটিকে ক্রোক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

মুম্বাইয়ে আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বেনামি আইনের ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা উপভোক্তা এ আইনভঙ্গ করলে তারা ৯০ দিনের জন্য সেই সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিতে পারেন। আলিবাগে শাহরুখের এই বাংলোর আনুমানিক মূল্য ১৪ কোটি ৬৭ লাখ রুপি। আলিবাগের সমুদ্রতীরে ১৯ হাজার ৯৬০ বর্গমিটারের এই বাংলোয় রয়েছে সুইমিং পুল, বিচ ও হেলিপ্যাড।

মুম্বাই আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ২৪ জানুয়ারি শাহরুখের অফিস 'রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট' এবং 'কলকাতা নাইট রাইডার্সের' চিফ একজিকিউটিভ অফিসারকে ই-মেল পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। এরপর শাহরুখের আলিবাগ বাংলো ক্রোক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মহারাষ্ট্র প্রজাস্বত্ব ও কৃষিজমি আইনে রাজ্য সরকার ও কালেক্টরের অনুমতি ছাড়া কৃষিজমিতে বাসা-বাড়ি করা যায় না। আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, 'দেজা ভ্যু' ফার্ম হাউসের নাম করে আলিবাগের কৃষিজমিকে শাহরুখ নিজের প্রমোদকানন হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

২০০৪ সালে এই জমি কেনার সময় প্রথম ট্রান্সফার সার্টিফিকেটে শেয়ার হোল্ডার হিসেবে শাহরুখ ও গৌরি খানের নাম ছিল। এরপর প্রথম ডিরেক্টরের জায়গায় রমেশ ছিব্বা, সরিতা ছিব্বা ও রাজারাম আজগাঁওনকরের নাম দেওয়া হয়। সেই সময় শাহরুখ 'দেজা ভ্যু' ফার্মকে ৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বন্ধকহীন ঋণ দেন।

২০০৪ সালে ওই কৃষি জমি কেনার সময় আজগাঁওনকরকে কৃষক হিসেবে দেখানো হয়েছিল। শর্ত হিসেবে বলা হয়েছিল, আগামী তিন বছরের মধ্যে জমিকে চাষের জন্য ব্যবহারের কাজ শুরু করতে হবে। এরপর ২০১১ সালে আজগাঁওনকরের জায়গায় 'দেজা ভ্যু'র ডিরেক্টর হন নমিতা ছিব্বা।

আয় কর বিভাগের অনুসন্ধানে উঠে আসে, রমেশ, সবিতা ও নমিতা ছিব্বা আসলে শাহরুখের শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালিকা। আর 'দেজা ভ্যু'র একমাত্র আয় শাহরুখের দেওয়া ঋণের টাকা। আলিবাগের জেলা সংগ্রাহক বিজয় সূর্যবংশি আলিবাগের উপকূলীয় বিধানের সমুদ্রমুখী ৮৭টি বাংলোর বৈধতা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করলে বিষয়টি প্রথম নজরে আসে।

মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, পিবিপিটি আইনে প্রাথমিকভাবে ক্রোক হওয়া বেনামি সম্পত্তির মালিকের বিরুদ্ধে সাত বছরের জেল ও সম্পত্তির চলতি বাজারদরের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে। সূত্র: এনডিটিভি।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১৪১৯ঘ.)