বাংলাদেশে অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারের শাস্তি কী?

বাংলাদেশে অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারের শাস্তি কী?

ঢাকা, ৭ জুন (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশে কপিরাইট বা মেধা স্বত্ব আইনের তোয়াক্কা না করেই গীতিকার এবং সুরকারদের বঞ্চিত করে গান বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুজন সুপরিচিত শিল্পীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব শেষপর্যন্ত আদালতে গড়ানোর পর একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

শিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা অভিযোগে আসিফ আকবর গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় ফের সামনে চলে এসেছে মেধা সত্ত্ব আইন বা কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি।
এমন প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তামজিম আল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে কপিরাইট আইন হয়েছে ২০০০ সালে যা পরে ২০০৫ সালে সংশোধন হয়।
‘এই আইনে সাহিত্যকর্ম, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, শিল্পকর্ম ও সাউন্ড রেকর্ডিং কপিরাইট আইনের অন্তর্ভুক্ত বিষয়।’

কিন্তু বাংলাদেশে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনে কি ধরনের শাস্তি আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র বাদে চারটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চার বছরের জেল ও দু লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ পাঁচ বছরের জেল’।

কিন্তু কোন ক্ষেত্রে কপিরাইট আইন বেশি লঙ্ঘন হচ্ছে?
জবাবে তামজিম আল ইসলাম বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হচ্ছে সঙ্গীতের ক্ষেত্রে। গীতিকার কিংবা সুরকার বা শিল্পীর অনুমতি ছাড়া বিভিন্নভাবে ব্যবহার করছে। যা আইনের লঙ্ঘন। সাহিত্যের ক্ষেত্রে হলেও সেটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে’।

তিনি বলেন গীতিকার ও সুরকার গানের মূল মালিক কপিরাইটের একচ্ছত্র অধিকার তাদের। তাদের মৃত্যুর পর ৬০ বছর পর তাদের উত্তরাধিকাররাই এ সম্পদের মালিক। এরপর এটি উন্মুক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু গীতিকার সুরকারের অনুমতি ছাড়া এখন অনেকক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হচ্ছে মূল সঙ্গীতকে। রিংটোন, ওয়ালপেপারে সেট হচ্ছে অর্থাৎ ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে মূল মালিকের অনুমতি ছাড়াই।

তাহলে শিল্পীদের মধ্যে সচেতনতা কতটা এসেছে?
তামজিম আল ইসলাম বলেন, শাফিন আহমেদ ও আব্দুল জব্বারসহ কয়েকজন শিল্পী আদালতে গেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের শিল্পীদের আরো সচেতন হওয়া দরকার তাদের মেধা সত্ত্ব অধিকার সম্পর্কে। সূত্র: বিবিসি।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১১৪২ঘ.)