ব্যাংক ইউনিয়নের চাপে বন্ধ হল বাবা-মেয়ের বিজ্ঞাপন!

ব্যাংক ইউনিয়নের চাপে বন্ধ হল বাবা-মেয়ের বিজ্ঞাপন!

ঢাকা, ২৩ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : এ নিয়ে বিতর্ক আগেও ছিল। এ বার ব্যাংক ইউনিয়নের চাপে পড়ে অমিতাভ বচ্চন এবং শ্বেতা নন্দার সাম্প্রতিক একটি গয়নার বিজ্ঞাপনের সম্প্রচার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন নির্মাতারা। অমিতাভ-শ্বেতার বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছেন ব্যাংক কর্মীদের সংগঠন। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে চাপের মুখে পিছু হটল গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা। শেষে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হলো তাদের। এর পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের ভিডিও তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গয়না প্রস্তুতকারক ওই সংস্থার সঙ্গে বচ্চন পরিবারের পুরনো সম্পর্ক। বরাবরই সংস্থার বিজ্ঞাপনে কাজ করতে দেখা গেছে অমিতাভ-জয়াকে। এই প্রথমবারের মত বিজ্ঞাপনে অমিতাভের সঙ্গী হলেন তার কন্যা শ্বেতা। প্রথমবার বাবার সঙ্গেও পর্দায় শেয়ার করেন মেয়ে। আবেগের সেই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন বিগ বি।

কিন্তু সুখের সেই মুহূর্ত বেশিক্ষণ টিকলো না। কারণ বিজ্ঞাপনের একটি দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তুলল ব্যাংককর্মীদের সংগঠন। সেই ভিডিওটিতে দেখানো হয়, এক মধ্যবিত্ত পরিবারের বৃদ্ধ হিসেবে দেখানো হয়েছে অমিতাভকে। যার পেনশন অ্যাকাউন্টে ভুল করে বেশি টাকা চলে গিয়েছিল। সে টাকা ফেরত দিতে গেলে ব্যাংক ম্যানেজার হেসে বলছেন, রেখেই দিন। এই দৃশ্য নিয়েই আপত্তি ব্যাংককর্মীদের। তাদের মতে, কোনও ব্যাংক ম্যানেজারই এ কথা বলতে পারেন না। কারণ এ কাজটিই নিয়মবিরুদ্ধ। এখানে ব্যাংককর্মীদের যেভাবে দেখানো হয়েছে তা নিতান্ত অবমাননাকর। ব্যাংকে যারা কাজ করেন তাদের ছোট করতেই এরকম একটা দৃশ্যের অবতারণা। জনসমাজেও এর খারাপ প্রভাব পড়বে। সর্বভারতীয় ব্যাংক ইউনিয়ন কনফেডারেশনের প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ সদস্য ওই গয়না প্রস্তকারক সংস্থার বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি দেন।

চাপের মুখে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা কল্যাণ জুয়েলার্স। যদিও তাদের দাবি ছিল বিষয়টি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। তবুও এতে যদি কারও সম্মানহানি হয়ে থাকে তাহলে সংস্থার পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে আপত্তিকর জায়গাটি সংশোধন করার কথাও। তবে মামলার হুঁশিয়ারির ফলে, পুরো বিজ্ঞাপনটিই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবশ্য এখনও বেশ কিছু জায়গায় বিজ্ঞাপনটি চলছে।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২১৪০ঘ.)