ঢাকা, ৫ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কুয়েত। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ আল জাররাহ এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন। কুয়েতের দৈনিক আল জারিদার রিপোর্ট উদ্বৃত করে এ খবর দিয়েছে গালফ নিউজ।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ওই দৈনিকের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর বাংলাদেশিদের রেসিডেন্সি পার্মিটের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসাথে নানা অনিয়ম এবং কর্মক্ষেত্রে পাচারাকারীদের নিয়ম লঙ্ঘনের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কুয়েতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তাদের রিপোর্টে বলেছে, গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মূলত নানা লঙ্ঘণ হয়েছে। আর এমন রিপোর্টই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ শুরু করে কুয়েত; যা ২০০৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে কমপক্ষে ৪ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি কর্মে যোগ দিয়েছে।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দেশটিতে পাড়ি জমানোর পর অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে কুয়েত। ২০১৪ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আবারো বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি।
২০১৬ সালের মে মাসে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে অনিয়মের তথ্য উঠে আসার পর আবারো বাংলাদেশে থেকে পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কুয়েত।
পরে কুয়েত সরকার দেশটির নাগরিকদের বিদেশি শ্রকি নিয়োগে নতুন শর্ত আরোপ করে। ওই সময় বলা হয়, প্রত্যেক কুয়েতি নাগরিক যদি কোনো দেশের একজন পুরুষ গৃহকর্মী নিযুক্ত রাখেন; তাহলে ওই দেশের আর কোনো শ্রমিককে নিয়োগ দিতে পারবেন না।
নতুন শর্তে বলা হয়, নিয়োগদাতার অবশ্যই নিজস্ব বাড়ি থাকতে হবে কুয়েতে। ২০১৬ সালে কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ২ লাখ।
(জাস্ট নিউজ/একে/১৯০০ঘ.)
