গাইবান্ধার চরাঞ্চলে গমের বাম্পার ফলন

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে গমের বাম্পার ফলন

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যমুনার চরাঞ্চলে এবার গমের ফলন ভালো হয়েছে। আশাতীত ফলন হওয়ায় খুশি এলাকার কৃষকরা। আর মাত্র কদিন পড়েই চরের গ্রামগুলোতে গমকাটা- মাড়াইয়ে ব্যস্থ সময় কাটাবে কৃষক।

উপজেলার বৃহত্তর অংশ যমুনার চরাঞ্চল নিয়ে গঠিত।গত দুই বছর নানা কারনে আবাদ ভাল হয়নি। এবার বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে চরের পলি মাটিতে বিভিন্ন রকমের ফসল চাষাবাদ শুরু করে চরাঞ্চলের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ায় আগের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন কৃষকরা।

অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে জমিতে গম বীজ বপন করা হয়। ফাল্‌গুনের শেষে ও চৈত্র মাসের প্রথম দিকে কাটা মাড়াই শুরু হয়। গমের চারা রোপনের পর খুব একটা বেশী সেচ দিতে হয় না। জমি চাষের সময় মাটির নিচে প্রয়োজন মোতাবেক জৈব্য সার ও চারা বড় হওয়ার কিছুদিন পরেই মাটির উপরে অংশে সামান্য ইউরিয়া সার প্রয়োগে ভাল ফলন পাওয়া যায়। ফলে গম চাষে খরচ অনেক কম হয়।

হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দি চরের কৃষক শাহিন ফকির জানান, তিনি ৮ বিঘা জমিতে গমের চাষ করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার খুব ভাল ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১২-১৪ মণ গম পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করছেন।

সাঘাটা ইউনিয়নের হাসিলকান্দি গ্রামের কাদের মন্ডল বলেন, তিনি ৪ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছেন। এখন গম পাকতে শুরু করেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই কাটাইমাড়াই শুরু হবে। সময়মত বৃষ্টি হওয়ায় ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১২-১৩ মণ গম হবে।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরাঞ্চলে গমের ভাল ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় সাধারনত ১০-১২ মণ হয়ে থাকলেও এবার ১৩-১৪ মণ ফলনের আশা করা হচ্ছে।