হোয়াইট হাউস সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প-হাসিনা আলোচনা প্রসঙ্গ

শেখ হাসিনার মন্তব্য অগ্রাহ্য করলেন নিকি হেলি

নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ সংবাদদাতা, ২২ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রহ নেই, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা এমন মন্তব্যকে অগ্রাহ্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি নিকি হেলি। সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত নিকি বলেন, বিগত তিন-চার সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারে ভয়ংকর যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে হতভম্ব যুক্তরাষ্ট্র। সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমরা এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, সংকট সমাধানে করণীয় যা করা ধরা দরকার তার সবটুকুই যুক্তরাষ্ট্র করছে।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের হিলটন মিডটাউন হোটেলে হোয়াইট হাউস সংবাদদাতাদের জন্য আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে জাস্ট নিউজ সম্পাদক এবং জাতিসংঘ সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারীর করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুল বলেন, আমার দুটি প্রশ্ন। প্রথমতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জাতিসংঘের ফ্লোরে দেখা হবার পর একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নন। আমরা জানি এ সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার দেয়া সাক্ষাত্কার বিষয়ে আপনি কোনো মন্তব্য করবেন কি?

দ্বিতীয়তো বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সম্মানের সাথে ফিরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার সরকারকে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেবে কিনা?

জবাবে নিকি হেলি শেখ হাসিনার প্রসঙ্গটি অগ্রাহ্য করে বলেন, আপনারা সবাই এটা দেখতে পাচ্ছেন যে, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিটি সদস্য আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। প্রত্যেকে যথাযথ মাধ্যমে ইস্যুটি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শরণার্থীদের যে সহযোগিতা করছে আমরা তাকে সমর্থন জানাচ্ছি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্ভরযোগ্য এই দূত আরো বলেন, আমাদের এখন যেটা খেয়াল করতে হবে তা হল শরণার্থীদের কোনো বসতি নেই। এ অবস্থায় কেউই জীবন ধারণ করতে পারে না।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমরা এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, সংকট সমাধানে করণীয় যা করা ধরা দরকার তার সবটুকুই যুক্তরাষ্ট্র করছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সম্ভাব্য সকল দিক বিবেচনায় নিয়েই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ভবিষ্যতের সুফল কি তা সময়ই বলে দেবে।

(জাস্ট নিউজ/জিইউ/১১৩০ঘ)