প্রানের বিকাশ সম্ভব, এমন গ্রহের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা!

প্রানের বিকাশ সম্ভব, এমন গ্রহের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা!

ঢাকা, ৩ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : সৌরমণ্ডলের বাইরেও মিলেছে প্রানের সন্ধান। ব্রিটেনের কেম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর মতোই তারা পাথুরে গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যেখানে প্রানের বিকাশ সম্ভব।

সায়েন্স অ্যাডভান্স জার্নালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, যে নক্ষত্রগুলি পর্যাপ্ত অতিবেগুনী রশ্মি নির্গত করতে পারে তারা তাদের কক্ষপথের গ্রহগুলিতে পৃথিবীর মতোই প্রানের বিকাশে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা এমনকিছু গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যারা তাদের নক্ষত্র থেকে নির্গত অতিবেগুনী রশ্মির মাধ্যমে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে পানি তৈরি করতে সক্ষম।

ব্রিটেনের কেম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির পোস্ট- ডক্টরাল বিজ্ঞানী পল রিমার জানিয়েছেন , ‘এই আবিষ্কারের ফলে কোথায় কোথায় প্রানের অস্তিত্ব আছে তা জানা আমাদের জন্য আরও সহজ হয়ে গেল।’

রিমার আরও বলেন , ‘জগতে একমাত্র আমাদেরই অস্তিত্ব আছে কিনা সেই প্রশ্নের আরও কিছুটা কাছাকাছি পৌঁছতে পারলাম আমরা।’ ২০১৫ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায় , সায়ানাইড যদিও একটি মারাত্বক বিষ, কিন্তু প্রাণ সৃষ্টির একটি অন্যতম প্রধান উপকরণ। পৃথিবীতে প্রাণ তৈরির আদিম জলীয় পদার্থের মধ্যে এটি লক্ষ্য করা যায়।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্য থেকে যে পরিমান আলো ও উত্তাপ নির্গত হয় সেভাবেই ওই নক্ষত্রগুলি থেকে নির্গত উত্তাপের সাহায্যে ওই গ্রহগুলির উপরিভাগে প্রাণ সৃষ্টি করা সম্ভব। পাশাপাশি শীতল নক্ষত্রগুলি থেকে যেহেতু সেই পরিমান তাপ নির্গত হয় না তাই তারা সেভাবে সক্ষম নয়।

যে গ্রহগুলিতে রাসায়নিক তৈরির পাশাপাশি তাদের উপরিভাগে পানিরর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে বিজ্ঞানীরা তাদের 'অ্যাবিওজেনেসিস জোন' বলে চিহ্নিত করেছেন।

কেপলার টেলিস্কোপের মাধ্যমে অ্যাবিওজেনেসিস জোনের বেশ কিছু নক্ষত্রকে চিহ্নিত করা গেছে। সেই সঙ্গে ‘কেপলার ৪৫২বি’ কে আর্থস ‘কাসিন’ ডাকনামে ভূষিত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন পরবর্তী প্রজন্মের আধুনিক দূরবীন যেমন-নাসার টিটিএসএস বা জেমস ওয়েবের দূরবীন অ্যাবিওজেনেসিস জোনের অন্যান্য গ্রহগুলিকে চিহ্নিত করতে ও তাদের বৈশিষ্ট বিশ্লেষণে সক্ষম হবে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০৪৫ঘ.)