ইউরোপে নিষিদ্ধ করা হল হ্যালোজেন ও ইনক্যানডিসেন্ট বাতি

ইউরোপে নিষিদ্ধ করা হল হ্যালোজেন ও ইনক্যানডিসেন্ট বাতি

ঢাকা, ২৫ আগসট (জাস্ট নিউজ) : বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বন্ধ হচ্ছে হ্যালোজেন বাতির ব্যবহার। পাশাপাশি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইনক্যানডিসেন্ট বাতিও। সেই সঙ্গে ইউরোপে এখন আর নতুন করে হ্যালোজেন বাতি উৎপাদন ও আমদানি করা যাবে না।

হ্যালোজেন বাতির বদলে বিশেষজ্ঞরা এখন ব্যবহার করতে বলছেন এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োডস) বাতি। তারা বলছেন, এলইডি বা আলোক নিঃসারি ডায়োডের এই বাতিগুলো বিকিরণের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক বিলও কমিয়ে আনবে।

বেশ কয়েকটি ধাপে ইউরোপে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বাতিগুলো নিষিদ্ধ করা হলো। এ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। এরপর শেষ ধাপে এ বছরের সেপ্টেম্বরে তা পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে।

সেপ্টেম্বর ২০০৯-
১০০ ওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী ক্লিয়ার ইনক্যানডিসেন্ট বাতি নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি অন্যান্য বাতিতেও বিদ্যুৎ ব্যবহারে ‘এ’ রেটিং থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়।

সেপ্টেম্বর ২০১০
৭৫ ওয়াটের ওপর বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী ক্লিয়ার ইনক্যানডিসেন্ট বাতি নিষিদ্ধ করা হয়।

সেপ্টেম্বর ২০১০
৬০ ওয়াটের ওপর বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী ক্লিয়ার ইনক্যানডিসেন্ট বাতি নিষিদ্ধ করা হয়।

সেপ্টেম্বর ২০১২
৪০ ওয়াটের ওপর বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী ক্লিয়ার ইনক্যানডিসেন্ট বাতি নিষিদ্ধ করা হয়।

সেপ্টেম্বর ২০১৬
ক্লিয়ার ইনক্যানডিসেন্ট বাতির পাশাপাশি সাধারণ হ্যালোজেন বাতিও নিষিদ্ধ করা হয়।

সেপ্টেম্বর ২০১৮
সাধারণ হ্যালোজেন বাতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্যতিক্রম হিসেবে ক্যাপসুল, লিনিয়ার এবং কম আলোর ইনক্যানডিসেন্ট বাতি যেগুলো ওভেনে ব্যবহার করা হয়, সেগুলো এই সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত ছাড় পাবে।

হ্যালোজেনের চেয়ে এলইডি বাতিতে শক্তির অপচয় হবে এক পঞ্চমাংশ। হ্যালোজেন বাতির ব্যবহার বন্ধ হলে বছরে দেড় কোটি টনের বেশি কার্বন নিঃসরণ ঠেকানো সম্ভব হবে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০৩০ঘ.)