বাবরি মসজিদের স্থলে রাম মন্দির নির্মাণে আইন চায় আরএসএস

বাবরি মসজিদের স্থলে রাম মন্দির নির্মাণে আইন চায় আরএসএস

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : বাবরি মসজিদের স্থলে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের প্রতি আইন তৈরির দাবি জানিয়েছেন ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত।

বৃহস্পতিবার আরএসএসের সদর দফতর নাগপুরে বিজয়া দশমী উৎসব উপলক্ষে এক বার্ষিক অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেন, শিগগিরই রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারের আইন আনা উচিত।

আরএসএস প্রধান সরকারের উদ্দেশে বলেন, জমির মালিকানা কার, সে সিদ্ধান্ত নেয়ার পথ সহজতর করা উচিত সরকারের। একই সঙ্গে তিনি বলেন, রাজনীতির জন্যই রাম মন্দির নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি বলেন, রাম কেবল হিন্দুদের নয়, বরং পুরো দেশের। আত্মসম্মানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে রাম মন্দির নির্মাণ জরুরি। রাম মন্দির নির্মাণ হলে দেশে সদ্ভাবনার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। মন্দিরের ইতিহাস তুলে ধরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত দাবি করেন, সম্রাট বাবর রাম মন্দির ধ্বংস করে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা জানি এখানেই রাম মন্দিরের অস্তিত্ব আছে। কিন্তু রাম মন্দির তৈরি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যের। এখনই রাম মন্দির নির্মাণ হওয়া উচিত। এদিকে বিষয়টি এখন সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। আর এমতাবস্থায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য আইন করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি দাবি জানালেন ভাগবত। এর পাশাপাশি, এবার রাম মন্দির গঠনে অর্ডিন্যান্স জারির দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ৷

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি কিছু দিন আগে বৈঠকে বসে৷ বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে একটি স্মারকলিপিও দিয়ে আসেন তারা।

বৈঠক শেষে সাবেক সংসদ সদস্য রাম বিলাস বেদান্তি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের উচিত আইন পাস করে রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত করা। দরকার পড়লে শীতকালীন অধিবেশনে অর্ডিন্যান্স আনতে হবে। লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই রামমন্দির নির্মাণের দাবি জোরালো করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও হিন্দু সংগঠনগুলো।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় কয়েকশ’ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তারা ওই স্থানেই রাম মন্দির নির্মাণ করতে চায়। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, বাবরি মসজিদের জায়গাতেই রামের জন্মস্থান।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/২২১০ঘ.)