শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট স্থগিত, প্রধানমন্ত্রীকে বাসভবন ছাড়ার নির্দেশ

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট স্থগিত, প্রধানমন্ত্রীকে বাসভবন ছাড়ার নির্দেশ

শ্রীলঙ্কা, ২৮ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা সাময়িকভাবে দেশের সংবিধান স্থগিত ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করার একদিন পরই তিনি এ পদক্ষেপ নিলেন। একই দিনে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে শপথ পড়ান প্রেসিডেন্ট।

এদিকে, বরখাস্তকৃত প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিংহকে আজকের মধ্যে তার সরকারি বাসভবন ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিপর্যয়কর এ পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার সাংবিধানিক সংকট আরো জটিল হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

খবরে বলা হয়, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী রনিল ব্রিকমসিংহকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। তার জায়গায় চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে বসান। এতে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে রাজাপাকসের সমর্থকরা। তবে বিক্রমসিংহের সংমর্থকরা এটিকে বিরোধীদের অভ্যুত্থান হিসেবে দেখছে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট আগামী ১৬ই নভেম্বর পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত ঘোষণা করেছেন। বলা হচ্ছে, বিক্রমসিংহ যেন পার্লামেন্টে তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারেন সেজন্যই এ পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্ষমতাসীন জোট থেকে নিজের দলকে সরিয়ে নেন সিরিসেনা।

এদিকে, বিক্রমসিংহ নিজেকে এখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দাবি করেছেন। বরখাস্ত হওয়ার আগমুহুর্তে তিনি আরো একটি অধিবেশন ডাকার জন্য পার্লামেন্টের স্পিকারের প্রতি আহবান জানান। মূলত পার্লামেন্টে নিজ দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্যই তিনি এই আহবান জানিয়েছেন। শনিবার কলম্বোতে বিক্রমসিংহ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এসময় বলেন, পার্লামেন্টে আমার সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। পার্লামেন্টের অধিবেশন ডেকে এ সঙ্কটের সমাধান করুন। সংবাদ সম্মেলনে সিরিসেনার দল ছাড়া ক্ষমতাসীন জোটের সব দলই উপস্থিত ছিল।

ইতিমধ্যেই বিক্রমসিংহকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল সরিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। অস্থায়ীভাবে একজনকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। এতে বলা হয়, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পাশাপাশি মন্ত্রীসভাও ভেঙে দেয়া হয়েছে।

আজ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীকাল মন্ত্রীসভা গঠন করা হতে পারে। শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে প্রেসিডেন্ট নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারবেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত নতুন সরকার গঠনের জন্যই প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৩৫৪ঘ.)