ঢাকা, ২৮ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন অনেকবার। ভাল বন্ধু হিসেবে প্রকাশ্যে মোদির পিঠ চাপড়েছেন। সেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের অতিথি হবার আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রতি বছরেই ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর রীতি রয়েছে। গত বছর ভারতের প্রতিবেশী সব দেশের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামাও এসেছিলেন। এবার গত এপ্রিল মাসেই প্রধান অতিখি হবার আমন্ত্রণ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারও করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, সেপ্টেম্বর মাসে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র টু প্লাস টু বৈঠকের পরই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে মিডিয়ার খবর, সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে চিঠি লিখে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে দেশে বেশকিছু অনুষ্ঠান রয়েছে ট্রাম্পের। আমন্ত্রণ না নিতে পারার জন্য দুঃখও প্রকাশ করা হয়েছে প্রেসিডেন্টের তরফে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এনিয়ে কিছু বলা হয়নি। দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে একমাত্র কথা বলবে হোয়াইট হাউস। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধ অমান্য করে ইরানের কাছ থেকে জ্বালানি তেল কেনা ও রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্তে পাল্টা হিসেবে ট্রাম্প ভারতের প্রধান অতিথি হবার আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়ে বার্তা দিয়েছেন।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে ইরানের সঙ্গে তেল কেনা নিয়ে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক সংঘাতের আকার নিয়েছে। ওয়াশিংটন জানিয়ে দিয়েছে, ইরানের কাছ থেকে যেসব দেশ তেল কিনবে তাদের নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে হবে। পাশাপাশি রাশিয়ার কাছ থেকে এস ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী প্রযুক্তি কিনছে ভারত। এতেও সম্পর্ক খারাপ হয়েছে দুদেশের মধ্যে।
(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২০০৮ঘ.)
