যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র, ৮ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসকে ছেঁটে ফেললেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার স্থলে চিফ অব স্টাফ মাথ্যু হুইটাকেরকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর দিনই রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

স্থানীয় সময় বুধবার এক টুইটবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই। টুইটারে তিনি লেখেন- সেশনসকে এতদিন দায়িত্ব পালন করার জন্য ধন্যবাদ। তার মঙ্গল কামনা করছি।

ট্রাম্প টুইটবার্তায় তিনি আরো জানান, সেশনসকে অস্থায়ীভাবে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার স্থানে চিফ অব স্টাফ মাথ্যু হুইটাকেরকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। হুইটাকের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, শীর্ষ এ আইনপ্রণেতার সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাষ্ট্রীয় প্রধান আইন কর্মকর্তার পদে সেশনসকে যে ট্রাম্প সহ্য করতে পারছিলেন না, সেটি স্পষ্টই বোঝা গেছে বিভিন্ন সময়ে তার দেয়া বক্তব্যে।

প্রেসিডেন্টের নির্দেশে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সেশনস। তবে তারিখবিহীন পদত্যাগপত্রে সেশনস যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি, সেটি স্পষ্ট ধরা পড়েছে।

তবে এ বরখাস্তের ঘটনা যে খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই ঘটেছে মোটেও তেমনটি নয়। কারণ এর পেছনে রয়েছে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার পক্ষে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের ব্যাপারে বিচার বিভাগের তদন্ত নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হন।

আলাবামার সাবেক এ সিনেটর আগে ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন। তিনি ওই চিঠিতে লিখেছিলেন- ‘প্রিয় প্রেসিডেন্ট আপনার অনুরোধে আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছি।’

রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন- ‘সবচেয়ে বড় কথা আমি অ্যাটর্নি জেনারেল থাকার সময় আমরা আইনের শাসনকে বলবত রেখেছি।’

সেশনসের সঙ্গে ট্রাম্পের বিবাদের শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। তখনই সেশনস রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে যে তদন্ত হচ্ছিল, সেখান থেকে সরে আসেন। এবং এ দায়িত্ব তার অধীনস্থ রড রোজেনস্টেইনকে দেন। এর পর থেকেই প্রকাশ্যে ট্রাম্প সেশনসের বিরুদ্ধে নানা ধরনের সমালোচনামূলক কথা বলতে থাকেন। সূত্র: বিবিসি।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০৩৫ঘ.)