পূর্ণ নিরাপত্তা ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নয়: জাতিসংঘ

পূর্ণ নিরাপত্তা ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নয়: জাতিসংঘ

 

নিউইয়র্ক, ২৪ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সম্প্রতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।

চুক্তির আওতায় আগামী দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হবে বলে বলা হয়েছে। খুব শিগগিরই এ প্রত্যাবাসন শুরু হবে। প্রত্যাবাসনের এ পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা।

সংস্থাগুলো বলেছে, এ পরিকল্পনার অধীনে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসনের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া ত্রাণ সহায়তা সংস্থাগুলো লাখ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। খবর রয়টার্সের।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা তাদেরকে বিপন্ন করবে: মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মনে করছে, মিয়ানমার-বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা রোহিঙ্গাদের রক্ষার বদলে বিপন্ন করবে। সংস্থাটি তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলে তাদের নির্যাতন, নিরাপত্তাহীনতা এবং খাদ্যাভাবে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কাজেই বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত বহাল রাখার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় ওই চুক্তিও স্থগিত করার পক্ষে মত দেয় সংস্থাটি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, এ প্রত্যাবাসন চুক্তির ফলে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা এবং স্বার্থ হুমকির মুখে পড়বে।

এ বিষয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন- যে সব রোহিঙ্গা ফিরে যাবেন তারা কোথায় থাকবেন এবং সেখানে তাদের নিরাপত্তা কতটুকু সেটাও দেখা হবে। তবে মানবাধিকার সংস্থা এইচআরডব্লিউ বলছে, ২০১২ সালে জাতিগত নিধনের শিকার হওয়া ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা আগে থেকেই রাখাইন প্রদেশের ‘অস্থায়ী’ ক্যাম্পে রয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১১০৫ঘ.)