নিউইয়র্ক, ১৬ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের হাই স্কুলে গুলি করে ১৭ জনকে হত্যার ঘটনায় আটক বন্দুকধারী নিকোলাস ক্রুজের ‘অস্থির চিত্ত বা ধ্বংসাত্মক মনোভাব’ সম্পর্কে সতর্ক করার পরও কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
বুধবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবেস ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মারজরি স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুল ছুটির সময় বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালালে ছাত্র-শিক্ষকসহ ১৭ জন নিহত হন। এ সময় স্কুল থেকে দৌড়ে বের হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে ওই বন্দুকধারীও বের হয়ে যায়।
পরে সন্দেহভাজন হিসেবে নিকোলাস ক্রুজকে (১৯) গ্রেপ্তার করে আদালতে তুলে পুলিশ। তদন্তকারীদের কাছে হামলার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকা গুলিভর্তি বন্দুকের কথাও তিনি জানান।
হামলার পর বৃহস্পতিবার এফবিআই জানান, নিকোলাস ক্রুজ সম্পর্কে এক বছর আগেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছিল। তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ পিঠে ব্যাগ নিয়ে তাঁর স্কুলে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে তাঁকে বহিষ্কারও করে।
গত বছর ক্রুজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে বলেন, তিনি একজন ‘প্রফেশনাল স্কুল শুটার’ হতে চান। বেন বেননাইট নামের একজন ইউটিউব ব্যবহারকারী এ বিষয়টি লক্ষ করেন। পরে তিনি বিষয়টি এফবিআইকে জানান এবং সাবধান করেন। বিষয়টি নিয়ে এফবিআইর একজন প্রতিনিধির সঙ্গে বেননাইটের কথাও হয়েছিল। পরে তদন্ত করেও এ ধরনের কোনো পোস্টদাতাকে খুঁজে পায়নি এফবিআই। হামলার পর ইউটিউবের ওই মন্তব্যটি সম্পর্কে আবারো এফবিআই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানান বেননাইট।
মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, নিকোলাস ক্রুজের বিষয়ে ফ্লোরিডার স্কুলের শিক্ষকরাও সতর্ক করেছিলেন।
স্কুলটির গণিত শিক্ষক জিম গার্ড জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্রুজের আচরণ নিয়ে শিক্ষকদের সতর্ক করে মেইল করেন। বহিষ্কৃত এই ছাত্রকে যাতে ব্যাগপত্র নিয়ে স্কুলে না দেখা যায়, সে জন্য নিষেধ করা হয়েছিল মেইলে।
পরে ক্রুজকে নানা রকম অনিয়মের কারণে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলা হলেও তাঁকে ঠিক কেন বহিষ্কার করা হয়, তা পরিষ্কার নয়। তবে ক্রুজের এক সাবেক সহপাঠী জোসুয়া ঝাড়ো জানান, ক্রুজের ব্যাগে বুলেট পাওয়া গিয়েছিল, তাই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
তবে এত দিক থেকে সতর্কতা থাকলেও পুলিশকে এই সম্পর্কে কেউ জানায়নি বলে দাবি করেছে ফ্লোরিডার পুলিশ।
বুধবার হওয়া এই হামলায় ১৭ জন নিহত হন, এর মধ্যে ১২ জনই ছিলেন স্কুলের শিক্ষার্থী। স্কুলে বন্দুক হামলার ক্ষেত্রে ২০১২ সালের পর এটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা।
(জাস্ট নিউজ/ওটি/১১৪২ঘ.)