গ্লোবাল টাইমস এর প্রতিবেদন

ভারত সীমান্তে কি যুদ্ধপ্রস্তুতি নিচ্ছে চীন!

ভারত সীমান্তে কি যুদ্ধপ্রস্তুতি নিচ্ছে চীন!

ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে চীন? ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের রণসজ্জা সাজাচ্ছে তারা। চীনের সেনাবাহিনীকে উদ্ধৃত করে চীনেরই একটি সরকারি সূত্র এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর নিজেদের শক্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে চীন। নয়াদিল্লির তরফ থেকে আসা যেকোনো রকম হুমকি ও পদক্ষেপের মোকাবিলা যাতে তারা করতে পারে, তাই এই রণসজ্জা বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনা সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে লাইটওয়েট মাল্টি রোল ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট জে-১০, এক আসন বিশিষ্ট জে-১১ ফাইটার জেট, দুটি ইঞ্জিন বিশিষ্ট অধিক উচ্চতায় ওড়ার ক্ষমতা সম্পন্ন জেট নজরদারি চালাচ্ছে পশ্চিম চীনের মালভূমি এলাকায়। মঙ্গলবার চীনের জাতীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস সেই ছবিগুলি প্রকাশ করেছে। চীনা বিমানবাহিনীর ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের অন্যতম হাতিয়ার এই জেট ফাইটারগুলি। এছাড়াও ওই এলাকার আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছে জে-২০ জেট ফাইটারকে, এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে গ্লোবাল টাইমস এর প্রতিবেদনটি।

পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনায় দক্ষ চীনের ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড। এর আগেও, ভারতের সঙ্গে শক্তি পরীক্ষায় নেমে চীন ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডকে ব্যবহার করেছিল। ওই এলাকাতেই মোতায়েন করা হয়েছিল এই বিশেষ সেনাকে। তিব্বতীয় মালভূমির ওপর ৩,৪৮৮ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এলএসি বিস্তৃত। মূলত ওই এলাকাতেই নজরদারি চালিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে রাখছে চীন।

ভারতের কাছে থার্ড জেনারেশনের ফাইটার জেট রয়েছে, এটা অনুমান করে চীন। চাই নিজেদের শক্তি আরো বাড়াতে আমদানি করা হয়েছে ৩.৫ জেনারেশনের ফাইটার জেট। যাতে ভারতের দিক থেকে আসা যে কোনো হুমকির মোকাবিলা করা যায়। গ্লোবাল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই জানিয়েছেন চীনা সেনা কর্মকর্তা সং।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনুমান, তিব্বত মালভূমিতে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে রসদ ও সেনা পাঠানোর ঘটনা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে চলেছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের এই মহড়ার বার্তা খুব স্পষ্ট। তা হল, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও সরকার বড় কোনো সংঘর্ষের পূর্ব প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এর আগে তিব্বতের রাজধানী লাসার কাছে এরকমই বড়সড় মহড়া চালায় চীনের স্থলসেনা। ঘন ঘন এই মহড়ায় ঠিক সেইসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামই ব্যবহার করা হয়েছে যেগুলো পার্বত্য যুদ্ধে শত্রুর হামলা প্রতিহত করতে ও শত্রুর জমি দখল করতে কৌশলগতভাবে কাজে লাগে। ফলে বেইজিংয়ের এই মহড়ার লক্ষ্য প্রতিবেশী জাপান, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান বা মঙ্গোলিয়া নয়। মহড়ার লক্ষ্য যে ভারত তা একেবারেই স্পষ্ট।

ওদিকে, মালদ্বীপে রাজনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করেও নাকি চীন ভারত মহাসাগরে তাদের যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করেছে।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২৩০৩ঘ.)