যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআই’র আরেক কর্মকর্তা বরখাস্ত

যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআই’র আরেক কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঢাকা, ১৭ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : যুক্তরাষ্ট্রে আরেক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার চাকরিচ্যুত হলেন সাবেক এফবিআই উপ-পরিচালক অ্যান্ড্রু ম্যাককেব। শুক্রবার রাতে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেসন্স তাকে বরখাস্ত করেন। অবসর গ্রহণের মাত্র দুদিন বাকি থাকতে তাকে সরিয়ে দেয়া হলো।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটির দ্বিতীয় এই শীর্ষ কর্মকর্তা সাম্প্রতিক সময়ে প্রায়ই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করতেন।

আগামী রবিবার ৫০তম জন্মদিনে তার অবসর গ্রহণের কথা ছিল। ওই দিন তিনি অবসর গ্রহণ করতে পারলে আগাম অবসর সুবিধাগুলো পেতে পারতেন। কিন্তু এখন তিনি তার নির্ধারিত পেনশনের সামান্য কিছু অংশ পাবেন।

মাত্র চার দিন আগেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে রেক্স টিলারসনকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এতেই থেমে থাকছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে এবার জোর জল্পনা, নিজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টারকেও সরাতে চলেছেন ট্রাম্প। তবে এখনই নয়। ম্যাকমাস্টারকে সরাতে নাকি এখন খানিকটা সময় নিতে চান প্রেসিডেন্ট। একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিক গতকাল একটি রিপোর্টে এই দাবি করেছে।

তবে হোয়াইট হাউসের কোনো কর্মকর্তা সরকারি ভাবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। যদিও ওই দৈনিক হোয়াইট হাউসের পাঁচ জন কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেছে, যারা ট্রাম্পের এই নতুন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অপছন্দের ম্যাকমাস্টারকে সরিয়ে তার জায়গায় জন বল্টন অথবা কিথ কেলোগকে আনতে চাইছেন ট্রাম্প। বল্টন এক সময় জাতিসঙ্ঘে আমেরিকার দূত ছিলেন। আর কেলোগ আপাতত জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের চিফ অব স্টাফ।

প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেয়ার পরেই টিলারসনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেছিলেন ট্রাম্প। তিনিই ছিলেন এই পদের জন্য প্রেসিডেন্টের প্রথম পছন্দ। কিন্তু গত এক বছরে নানা কারণে তার সঙ্গে প্রেসিডেন্টের মনোমালিন্য প্রকাশ্যে আসে। গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই তাই গুঞ্জন শুরু হয়, তবে কি সরছেন টিলারসন? সেই জল্পনাই অবশেষে সত্যি হয় গত মঙ্গলবার। টিলারসনকে সরানোর পরপরই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, নিজের ক্যাবিনেটে এই ধরনের আরো রদবদল আনতে চলেছেন তিনি। বলেছিলেন, ‘আমি নিজের পছন্দের ক্যাবিনেট পাওয়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।’

মাসখানেক আগে মাইকেল ফ্লিনকে সরিয়ে ম্যাকমাস্টারকে নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আনেন ট্রাম্প। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে ফ্লিনের গোলমাল বাধায় সরতে হয়েছিল ফ্লিনকে।

 (জাস্ট নিউজ/এমআই/১১১২ঘ.)