জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিলেন ট্রাম্প

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিলেন ট্রাম্প

ঢাকা, ৭ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহবান অগ্রাহ্য করে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেন, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সময় এসেছে। অনেক আগেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১:০০ টায়(বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা) বিতর্কিত ও সমালোচিত এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে তিনি তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের কাজ শুরু করতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।

এদিকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।

তবে এ সিদ্ধান্তে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা ও দূতাবাস স্থানান্তর বিষয়ে ট্রাম্পকে সাবধান করেছিল জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব লিগ, সৌদি আরব, জর্ডান, তুরস্ক, ফ্রান্স এবং জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। তার পূর্বসুরিরাও শান্তি প্রক্রিয়ার স্বার্থে জেরুজালেম ইস্যুতে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তবে ট্রাম্প তার উল্টোটাই করে দেখালেন।

ঐতিহাসিক সময় থেকে জেরুজালেম মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদীসহ বিভিন্ন ধর্মের লোকদের কাছে পবিত্র নগরী হিসেবে বিবেচ্য হয়ে আসছে। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া জেরুজালেম ইস্যুটি সবচেয়ে বড় সমস্যার একটি।

ইসরাইল জেরুজালেমকে শাশ্বত এবং অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। পাশাপাশি তার মিত্র দেশের সব দূতাবাস সেখানে স্থাপন হোক এটাই তার দাবি।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূমি থেকে দখলদার ইসরাইলকে সরে যাবার দাবি জানিয়ে আসছে বহুবছর ধরে। ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর ইসরাইল ফিলিস্তিনের বিস্তীর্ণ ভূমি দখলের পাশাপাশি জেরুজালেমসহ অন্যান্য পবিত্র স্থানও দখল করে নেয়। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখতে চায় ফিলিস্তিন। আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও শহরটিকে ইসরাইলের অংশ হিসেবে মেনে নেয়নি। এ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলে আসছে।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর ফিলিস্তিনের মুক্ত চিন্তার রাজনীতিবিদ মুস্তাফা মারঘুতি আল জাজিরাকে বলেন, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি বেপরোয়া কাজ। তার দেয়া ঘোষণায় গুরুতর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, যা এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করবে। ট্রাম্পের ঘোষণা ১.৬ বিলিয়ন মুসলিম, ২.২ বিলিয়ন খ্রিস্টান এবং ৩৬০ মিলিয়ন আরবের জন্য নতুন সংকটের কারণ হবে।

 

 

(জাস্ট নিউজ/জেআর/০০৩০ঘ.)