১৮০০০ কোটি ডলারের চুক্তি

এবার অস্ত্র কিনতে ফ্রান্সে যুবরাজ

এবার অস্ত্র কিনতে ফ্রান্সে যুবরাজ

ঢাকা, ১২ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : সম্প্রতি, আমেরিকা ও ব্রিটেনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার জন্য বিশাল চুক্তি করেছে সৌদি আরব। এসব চুক্তির আওতায় রিয়াদ সরকার বহু যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও প্রচলিত অস্ত্র পাবে। এবার ফ্রান্স থেকেও অস্ত্র কিনবে সৌদি আরব।

মঙ্গলবার তিন দিনের সফরের শেষ দিনেই ফ্রান্সের সঙ্গে সে চুক্তি করে ফেলেছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান।

ফ্রান্স থেকে অস্ত্র কেনার জন্য প্রায় ১৮০০০ কোটি ডলারের চুক্তি সই করেছেন যুবরাজ। সৌদি সরকার পরিচালিত আল-আরাবিয়া টিভি চ্যানেল মঙ্গলবার জানিয়েছে, অর্থনীতির অনেক কিছুই এ চুক্তির আওতায় আসবে। তবে এটা চূড়ান্ত চুক্তি নাকি সমঝোতা স্মারক তা পরিষ্কার করেনি।

এ ধরনের একের পর এক অস্ত্র চুক্তির কারণে সৌদি আরব কার্যত অস্ত্র গুদামে পরিণত হচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছিল- প্রায় এক হাজার কোটি ডলারের তেল সংক্রান্ত চুক্তি করবেন বিন সালমান।

এতে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর সঙ্গে ফ্রান্সের টোটাল, টেকনিপ ও সুয়েজের মতো বড় কোম্পানির সহযোগিতা বাড়বে।

তবে অন্য কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল- বিন সালমান অস্ত্র কেনার জন্য ফ্রান্স সফর করছেন। এ চুক্তির আওতায় ফ্রান্স থেকে সৌদি আরব সিজার আর্টিলারি কামান ও যুদ্ধজাহাজ কেনার চুক্তি করবেন।

আগে থেকেই ফ্রান্স থেকে কেনা সিজার আর্টিলারিগান, স্নাইপার রাইফেল, ট্যাংক ও সাঁজোয়াযান এবং যুদ্ধজাহাজ নিয়ে সৌদি আরব ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে।

সৌদি আরব যখন ইয়েমেনে তিন বছর ধরে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে তখন মানবাধিকারের দাবিদার পশ্চিমা সরকারগুলো সৌদি আরবের সঙ্গে একের পর এক অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে চলেছে।

সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অস্ত্র বিক্রির জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলো ইয়েমেন যুদ্ধ জিইয়ে রেখেছে এবং সৌদি আরবকে পেছন থেকে মদদ দিচ্ছে।

ইয়েমেনে ভয়াবহ প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িত থাকার পরও সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাত্রেঁদ্ধা। তিনি দাবি করেন, ফ্রান্স অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে খুব সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে।

এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রয়োজন, মানবাধিকারের আইন ও বেসামরিক জনগণের জীবনের ঝুঁকির বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/০৯৪৮ঘ.)