ঢাকা, ৪ জুন (জাস্ট নিউজ) : সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জোট ইরানে হামলা চালালে তাতে কাতার কোনো ধরনের সহযোগিতা করবে না বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ আল-আতিয়ার।
রবিবার সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় তিনি একথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে ডেকে নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা কী বুদ্ধিমানের কাজ হবে?’ তার এই পরোক্ষ প্রশ্ন ছিল সৌদি আরবকে উদ্দেশ্য করে।
কাতারি মন্ত্রী বলেন, তৃতীয় কোনো পক্ষ মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থির করতে চাইছে কিংবা এ অঞ্চলের কোনো দেশ ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করতে চাইছে। কিন্তু এ ধরনের পদক্ষেপ হবে খুবই বিপজ্জনক।
তিনি আরো বলেন, ‘ইরান হচ্ছে পরবর্তী দরজা। আমাদের উচিত যুদ্ধ বাদ দিয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসা। এ দেশটি যুদ্ধের পাগল নয় বরং আলোচনা ও সংলাপে বসার দেশ। সবার উচিত বিষয়টি মাথায় নেয়া এবং সেভাবে এগিয়ে যাওয়া। আমরা ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট পরিপক্ক এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর মতো ভুল তারা করবে না।’
কাতারে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটি ইরান হামলায় ব্যবহৃত হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধবাজ নই। যুদ্ধের চেয়ে বরং সমঝোতাকেই প্রাধান্য দেই।
প্রসঙ্গত, কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটি আছে। যেখানে ১১ হাজার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাও অবস্থান করছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরও কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তা সংরক্ষণের কথা বলেছিলেন। সূত্র: আল জাজিরা, এপি
(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/১৮২২ঘ.)
