রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শিগগিরই, চীনের আশাবাদ

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শিগগিরই, চীনের আশাবাদ

ঢাকা, ৮ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : সম্প্রতি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের ফলাফল উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝোয়াং ঝু বলেছেন, ‘ওই বৈঠকে যেসব বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে তাতে রাখাইনে পরিস্থিতির উন্নতির মাধ্যমে খুব শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করা যায়।’

রবিবার রাজধানীতে চীন ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সহযোগিতা শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন ঝোয়াং ঝু।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে চীনের বেইজিং এ বাংলাদেশ ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর ঠিক কয়েক দিন আগেই মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই দেশের সঙ্গে এই আলাদা বৈঠক করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার এখন আন্তরিক হবে বলে চীন আশাবাদী হয়েছে বলে জানা যায়।

বৈঠকে কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একমত হয়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রদূত জানান।

ঝোয়াং ঝু বলেন, ‘যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে তাতে তিনটি বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একমত হয়েছে; প্রথমত,দুই দেশই একমত হয়েছে রাখাইনের পরিস্থিতি সবার আগে উন্নত করার বিষয়ে। সেটি করতে হবে তিনটি উপায়ে। তা হল,রাখাইনের সহিংসতা বন্ধ করা, দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা এবং স্থানীয় উন্নয়ন। দ্বিতীয়ত,দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার সত্যিকারের দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে,এবং তৃতীয়ত চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চালিয়ে যাবে।এছাড়াও,বাংলাদেশ ও মিয়ানমার তাদের সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবে।’

এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি খুব শিগগিরই দেশের ছয়টি বিভাগে আলাদা সরকারি টেলিভিশন চালু করার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় পর্যায়ে আরো ছয়টি পৃথক টিভি আসছে শিগগিরই। এ ব্যাপারে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তিও দুই মাসের মধ্যে সম্পাদিত হবে।’

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে কীভাবে চীন ও বাংলাদেশের সাংবাদিকদের মধ্যে আরো যোগাযোগ বাড়ানো যায়, সে ব্যাপারে তাদের পরামর্শ তুলে ধরেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৫৯ঘ.)