ভেঙে পড়লো মোদির প্যান্ডেলের একাংশ, আহত ২২

ভেঙে পড়লো মোদির প্যান্ডেলের একাংশ, আহত ২২

ঢাকা, ১৬ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে কৃষক কল্যাণ সমাবেশে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিপুল জনজোয়ারে এদিন মোদির জনসভার প্যান্ডেলের একাংশ ভেঙে পড়ে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২২ জন।

সোমবার কৃষক কল্যাণ সমাবেশে যোগ দেন তিনি।

আহতদের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সভা শেষে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান মোদি। এই দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে মোদি বলেছেন, ‘প্যান্ডেল ভেঙে পড়ার পরেও আমাদের কোনো কর্মী সমর্থক চলে যাননি। এটাই আমাদের শক্তি।’

পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে এদিন জনজোয়ারে পূর্ণ বিশাল সমাবেশ দেখে মোদি বাংলায় ভাষণ শুরু করে বলেন, ‘এই বিশাল জনসমাবেশ দেখে আমি খুশি। বৃষ্টির মধ্যেও অসংখ্য মানুষ আমাকে দেখার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। যা দেখে আমি বিস্মিত। আমাকে স্বাগত জানাতে করজোড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়েছে। এর জন্য আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।’

মোদি দাবি করেন, তার সরকার জনগণের সরকার। বিজেপি কৃষকদের জন্য ফসলের সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছে। বিজেপির আগে ভারতে কেউ কৃষকদের কথা ভাবেনি বলেও মোদি দাবি করেন।

তিনি বলেন, ভারতের মাটিতে গ্রামের উন্নয়ন না হলে শহর এগোতে পারবে না।

এদিন মোদি পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করে বলে, এই রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকার আসলে সিন্ডিকেটের সরকার। পশ্চিমবঙ্গে স্কুল, হাসপাতাল যাই হোক না কেন সিন্ডিকেট ছাড়া হয় না। কে কোথায় ইট, বালি সিমেন্ট কিনবে সেটাও ঠিক করে সিন্ডিকেট। বিরোধীদের হত্যা করার জন্যেও পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে সিন্ডিকেট। বামফ্রন্ট জমানার থেকেও বর্তমানে পশ্চিমবাংলার অবস্থা খারাপ বলেও দাবি করেন মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রাজ্যের ছোট বা বড়ো ব্যবসায়ী, সবাই সিন্ডিকেটের অধীন। ভোট ব্যাংকের জন্যেও সিন্ডিকেট ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে সিন্ডিকেটের ইচ্ছাতেই সব হয়। রাজনৈতিক সিন্ডিকেট ভোট ব্যাংকের জন্য বাংলাকে অপমান করছে। পশ্চিমবঙ্গে গত পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস হয়েছে। এখানে দলিত বাবা-মায়ের সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। পশ্চিমবাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। এই রাজ্য থেকে বামেদের সরাতে সময় লেগেছে। এবার এই জুলুম থেকে মুক্তি পেতে হবে সকলকে। সাহস থাকলে যতোবড়ো সিন্ডিকেটই থাকুক না কেন তা একদিন নড়ে যায়।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/১৭১৪ঘ.)