প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে ইমরান খান

প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে ইমরান খান

ঢাকা, ২৫ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : সহিংসতা, বোমা হামলা, নানা অভিযোগের ঘটনাবহুল পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দেশটিতে ভোটগ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মোট ২৭২ টি আসনের মধ্যে ২২১ টি আসনের বেসরকারি ফলাফল জানা গেছে। এতে দেখা গেছে, ইমরান খানের দল পিটিআই সবার চেয়ে এগিয়ে আছে। দলটি এখন পর্যন্ত মোট ৯১ টি আসনে জয়লাভ করেছে। আর নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ৫০টি আসন। অন্যদিকে, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর দল পিপিপি পেয়েছে মাত্র ৩২টি আসন।

আর বাকী দলগুলো সব মিলিয়ে ৪৮টি আসনে জয় লাভ করেছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য কোন দলকে এককভাবে ১৩৭টি আসনে জয়লাভ করতে হবে।

অপরদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সে দেশের বিচার বিভাগের সহায়তায় সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করছে বলে গুঞ্জন চলছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের জনপ্রিয়তা বেশি হওয়া সত্ত্বেও তাই ইমরান খানকেই সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এগিয়ে রেখেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

প্রাক নির্বাচনী জরিপগুলোর বরাত দিয়ে এই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করা হলেও ইমরানের দলই সরকার গঠন করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। নির্বাচনী পরিবেশকে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়েছে তারা। ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীর ৩ লাখ ৭১ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন থাকছে।

একই সঙ্গে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর আরো সাড়ে ৪ লাখের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে একটি জনমত জরিপ প্রকাশ করেছে দেশটির টেকসই উন্নয়ন নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসডিপিআই ও সংবাদমাধ্যম হেরাল্ড ম্যাগাজিন। এই জরিপে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছে সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দল।

তাদের পরেই আছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)। পিএমএলএনের চেয়ে পিটিআই এগিয়ে আছে চার শতাংশ পয়েন্টে আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিপিপি) পিএমএলএনএর চেয়ে পাঁচ শতাংশ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে। জরিপে বলা হয়েছে, ১৩ শতাংশ ভোটার কাকে ভোট দেবেন তা এখনো ঠিক করতে পারেনি। এসব ভোটারই চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণে ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

হেরাল্ড-এসডিপিআই জরিপ অনুযায়ী, পাঞ্জাবে মতামত দেয়া ভোটারদের মধ্যে সাত শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল নওয়াজের পিএমএলএন। নির্বাচনে কমিশনে নিবন্ধিত ১২০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে মোট ৯৫টি দলের প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন। দেশজুড়ে ভোটগ্রহণের জন্য মোট ৮ হাজার ৫০৮টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এসব কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮৭টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ভাষায় ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র’ ছিল ১৭ হাজার ৭টি। ইয়াকুব জানান, এই নির্বাচনে নিবন্ধিত মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫হাজার ৪০৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৯২ লাখ ২২ হাজার ৯২৭ জন আর নারী ভোটার ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার ৫৬৯ জন, আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ হাজার ৯১৩ জন। এদের মধ্যে শুধু পাঞ্জাবেই রয়েছে ১ হাজার ৩৫৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২২১০ঘ.)