রুহানির সঙ্গে ‘দেখা করতে প্রস্তুত’: ট্রাম্প

রুহানির সঙ্গে ‘দেখা করতে প্রস্তুত’: ট্রাম্প

ঢাকা, ৩১ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই’ তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত।

তেহরানের ‘ইচ্ছানুযায়ী যে কোনো সময়’ এ বৈঠক হতে পারে বলেও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

‘যে কারও সঙ্গে দেখা করতে পারি। আমি বৈঠকে বিশ্বাসী’ বলেছেন তিনি।

চলতি মাসের শুরুতেও ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য একে অপরকে দায় দেওয়ার পাশাপাশি পরষ্পরের দিকে হুঁশিয়ারিও ছুড়ে দিয়েছিলেন দুই নেতা।

মে-তে ছয় বিশ্বশক্তি ও তেহরানের মধ্যে স্বাক্ষরিত জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তি থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিলে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা দেখা দেয়।

পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টানার বিনিময়ে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই চুক্তিটি করেছিল ইরান।

ট্রাম্প শুরু থেকেই বারাক ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত চুক্তিটির ঘোর বিরোধী ছিলেন। ক্ষমতায় গেলে ওয়াশিংটনকে চুক্তি থেকে সরিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি; মাস দুই আগে যা বাস্তবায়িত হয়।

ইউরোপীয় মিত্ররা আপত্তি জানালেও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল ও সৌদি আরবের প্রভাব ক্ষুন্নে ইরানের কার্যক্রম নিয়ে সন্দিহান মার্কিন প্রশাসন তেহরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। এর মধ্যেই রুহানির সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্পের এ প্রস্তাব।

“তারা যদি দেখা করতে চায়, আমরাও করবো,” বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ইরানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ইরান তার আচরণ পরিবর্তনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেই এ বৈঠক হতে পারে, বলেছেন তিনি।

“সংকট সমাধানে প্রেসিডেন্ট তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান,” সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে এমনটাই বলেছেন পম্পেও।

ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় ইরানি প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হামিদ আবু তালেবি টুইটারে বলেছেন, পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসা ও ইরানের অধিকারকে সম্মান জানালেই ওয়াশিংটন-তেহরান সংলাপের পথ খুলে যাবে।

এর আগে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বেশ কয়েকদফা বাদানুবাদে জড়ালেও পরে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে দুই নেতা একে অপরের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন।

রুহানির সঙ্গে বৈঠক হলে, তা হবে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটির নেতৃত্বের সঙ্গে মার্কিন নেতৃত্বের প্রথম কোনো শীর্ষ সম্মেলন।

 

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১৫০৬ঘ.)