আজানে শব্দ দূষণের মাত্রা পরিমাপের নির্দেশ!

আজানে শব্দ দূষণের মাত্রা পরিমাপের নির্দেশ!

ঢাকা, ১৩ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : ভারতের পূর্ব দিল্লির সাতটি মসজিদ থেকে আজানের শব্দে শব্দদূষণ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির জাতীয় পরিবেশ আদালত। অখণ্ড ভারত মোর্চা নামে একটি কট্টরপন্থী সংগঠনের অভিযোগের পর আদালতের এই নির্দেশনা। অথচ, ৪ মাস আগে হনুমান জয়ন্তী পালন করতে মোটরবাইক মিছিল করে দিল্লির রাস্তায় নেমেছিল এই সংগঠন। মসজিদের সামনে গিয়ে অস্ত্রশস্ত্র হাতে স্লোগান তুলে গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত এখনও চলছে।

অখণ্ড মোর্চার অভিযোগ ছিল, পরিবেশ রক্ষা আইন ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি ভেঙে ওই মসজিদগুলি আজানের সময়ে লাউডস্পিকার বাজাচ্ছে। চেয়ারপার্সন বিচারপতি আদর্শকুমার গয়ালের নেতৃত্বাধীন পরিবেশ আদালতের বেঞ্চের নির্দেশ, কেন্দ্রীয় ও দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে শব্দদূষণ যাচাইয়ের কাজটি করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ডেসিবেলের মধ্যে যাতে লাউডস্পিকার বাজানো হয়, তা দেখার দায়িত্ব দিল্লি পুলিশের।

আদালতের এই নির্দেশ পেয়ে উল্লসিত মোর্চার সভাপতি সন্দীপ আহুজা বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যা করার করবে। তার সঙ্গে আমরাও পরীক্ষা করতে নামব। সোজা ১০০ নম্বরে ফোন করে আজানের আওয়াজ শুনিয়ে দেব।

দেশটির আইন অনুযায়ী, হাসপাতাল-স্কুলের মতো সাইলেন্স জোনে লাউডস্পিকারের নির্ধারিত মাত্রা দিনের বেলায় ৫০ ডেসিবেল, রাতে ৪০ ডেসিবেল। আবাসিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৫৫ ডেসিবেল ও ৪৫ ডেসিবেল। অখণ্ড মোর্চার আইনজীবী রাহুলরাজ মালিকের আদালতে অভিযোগ ছিল, অনেক মসজিদের কাছে স্কুল-হাসপাতালও রয়েছে।

অন্যদিকে সন্দীপের যুক্তি, হিন্দুদের অনুষ্ঠানেও স্পিকার বাজে। অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা (মুসলিমরা) অনুমতি ছাড়াই দিনে ৫ বার লাউডস্পিকার বাজান। আইন সকলের জন্যই এক হওয়া উচিত। এই জন্যই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির দাবি তুলছি।

১৯৯৮ সালে বিজেপির সাবেক সাংসদ বৈকুণ্ঠলাল শর্মা অখণ্ড ভারত মোর্চা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান সভাপতি সন্দীপ আহুজা আরএসএস, বজরং দল, যুব মোর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রতি বছরই হনুমান জয়ন্তীতে বজরং সশক্ত র‌্যালি বের করে মোর্চা। ইদানিং নাকি এর সদস্য সংখ্যা এবং বাইকের সংখ্যা বেড়েছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০০০ঘ.)