শোকার্ত যুক্তরাষ্ট্র

প্রভাবশালী সিনেটর ম্যাককেইন মারা গেছেন

প্রভাবশালী সিনেটর ম্যাককেইন মারা গেছেন

ওয়াশিংটন, ২৬ আগস্ট (জাস্ট নিউজ): যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সিনেটর ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জন ম্যাককেইন মৃত্যুবরণ করেছেন। ২৫ আগস্ট বিকাল ৪টা ২৮ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮১। তাঁর মৃত‌্যুতে রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো যুক্তরাষ্ট্র।

৬০ বছর ধরে যু্ক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন ম্যাককেইন। আরিজোয়ানা থেকে ছয়বারের নির্বাচিত সিনেটর ছিলেন তিনি। তাঁকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের অন্যতম বিবেচনা করা হয়।

যুদ্ধ সময়ের এই কারাবন্দির অন্তিম মুহূর্তে তার পাশে ছিলেন তার স্ত্রী সিনডি ও পরিবার। গত একবছর ধরে মস্তিষ্কের ক্যান্সারে ভুগছিলেন ভিয়েতনাম যুদ্ধের বীর সৈনিক ও বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। চিকিৎসাও চলছিলো তাঁর।

ম্যাককেইনের পরিবার জানিয়েছে, শুক্রবার নিজের চিকিৎসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাককেইন। তাঁর কন্যা ম্যাগান বলেন, বাবাই তার বাকি জীবনে প্রত্যাশা আর ভালোবাসার উদাহরণ হয়ে থাকবেন।

টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সামনে যে দিন আর বছরগুলো আসবে তা বাবাকে সঙ্গে নিয়ে হবে না, তবে সে দিনগুলো ভালো হবে, পরিপূর্ণ থাকবে ভালোবাসা আর প্রাণবন্ততায়। কারন তিনি (বাবা) আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।

ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে আরিজোয়ানা প্রদেশের পোনিক্স শহরে ম্যাককেইনকে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।

ম্যাককেইনের বাবা এবং দাদা দুজনেই ছিলের নেভী অ্যাডমিরাল। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে লড়েছেন একজন পাইলট যোদ্ধা হিসেবে। তাঁর বিমনাটিকে যখন গুলিতে ভূপাতিত করার পর পাঁচ বছর কারাগারে যুদ্ধ বন্ধির জীবন অতিবাহিত করেছেন। বন্দি থাকা অবস্থায় তাঁকে চরম নির্যাতিত হতে হয়েছে। 

সর্বপ্রথম ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীতার লড়াইয়ে মাঠে নামেন ম্যাককেইন। তার জনপ্রিয়তা আরো বেশি গতি পায় ২০০৮ সালে, এ বছর তিনি রিপাবলিকানের মনোনয়ন পান।

ম্যাককেইনের মৃত‌্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শ্রদ্ধা আর শোকবার্তা জানাচ্ছেন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন কড়াসমালোচক ছিলেন ম্যাককেইন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর মৃত‌্যুতে শোক প্রকাশ করে এক টুইট বার্তাূয় লিখেছেন, সিনেটর জন ম্যাককেইনের পরিবারের প্রতি রইলো আমার গভীর শ্রদ্ধা আর সহানুভূতি। আমাদের হৃদ্যতা আর প্রার্থনা রইলো আপনাদের জন্য।

ম্যাককেইনকে বন্ধু আখ্যা দিয়ে এবং দুইজনের একটি ছবি শেয়ার করে ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সারাহ পলিন বলনে, পৃথিবী সত্যিকারের একজন আমেরিকানকে হারালো।

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, জন ম্যাককেইন যে পথে হেঁটেছেন এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন সে পথে খুব কম লোকই হাঁটতে পেরেছে।

সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাককেইনের প্রভাব ফুরিয়ে যাবার মতো কোনো বিষয় নয়।

 

(জাস্ট নিউজ/এমআই/জিএস/০৯১২ঘ.)