বিতর নামাজ এক রাকাত পড়লে আদায় হবে?

বিতর নামাজ এক রাকাত পড়লে আদায় হবে?

ঢাকা, ২২ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া।

জুমাবারের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫৩৫তম পর্বে বিতর নামাজ এক রাকাত পড়া যাবে কি না, সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে কলাবাগান থেকে টেলিফোন করেছেন সেলিনা রহমান। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : আমরা জানি, তিনভাবে বিতর নামাজ পড়া যায়। কেউ যদি কোনো কারণে শুধু এক রাকাত বিতর পড়েন, অনেকে বলেন যে এটি পড়া যাবে না। যদি দেখা যায় তাহাজ্জুদ পড়তে পড়তে ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেছে, সে ক্ষেত্রেই শুধু এক রাকাত নামাজটি প্রযোজ্য হবে। কিন্তু যদি এমন হয় যে শরীরটা খারাপ লাগছে, আমি হয়তো এক রাকাত পড়তে চাইলাম। সে ক্ষেত্রে কি আমি শুধু এক রাকাত বিতর নামাজ পড়তে পারব?

উত্তর : আপনি বলেছেন, অনেকেই আপনাকে বলেছে, শুধু সময়-স্বল্পতা থাকলে এক রাকাত বিতর পড়া যাবে, এই ব্যাখ্যা শুদ্ধ নয়। বিতর অর্থই হচ্ছে বিজোড়, বিজোড় এক রাকাত নামাজ আপনি এমনিতেই পড়তে পারবেন। কোনো রকমের ওজর বা তাগাদা বা অসুস্থতা ছাড়া এমনিই আপনি পড়তে পারবেন। আল্লাহর নবী (সা.) যেটি অনুমোদন করেছেন, সেটি ওজরের ওপর নিয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। রাসূল (সা.) এক রাকাত, তিন রাকাত, পাঁচ রাকাত, সাত রাকাত, নয় রাকাত, এগারো রাকাত পর্যন্ত বিতর নামাজ পড়েছেন। এটি বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। কোনো কোনো হাদিসে তেরো রাকাতের কথাও এসেছে, সেটি সনদের দিক থেকে দুর্বল। কিন্তু এগারো রাকাত পর্যন্ত বিশুদ্ধ বর্ণনায় এসেছে। এর অর্থ হচ্ছে এক রাকাত দিয়ে বিজোড় করতে পারবেন।

কিন্তু রাসূল (সা.) কখনো কখনো এর আগে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়েছেন, এটি দেখা যায়। বেশিরভাগ সময় তাঁর নফল ছিল দুই রাকাত, তারপর এক রাকাত ছিল। আপনি যেহেতু অন্য নামাজ আদায় করছেন বা তাহাজ্জুদ পড়ছেন বা এশার সুন্নত পড়ছেন, তারপর যদি এক রাকাত বিতর পড়েন, এতে নাজায়েজ হওয়ার কিছুই নেই, আলহামদুলিল্লাহ এটি বিশুদ্ধ এবং কোনো সমস্যা হবে না।

যাঁরা বলেছেন এটি শুধু সময়ের কারণে করছেন, তারা আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি, ভুল তথ্য দিয়েছেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬৪২ঘ.)