বৃটেনের মধ্যবর্তী নির্বাচন

ঝুলন্ত পার্লামেন্টের পথে যুক্তরাজ্য

ঝুলন্ত পার্লামেন্টের পথে যুক্তরাজ্য

লন্ডন থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী, ৯ জুন (জাস্ট নিউজ) : বৃটেনের সাধারন নির্বাচনে পাল্টে যেতে চলেছে সকল হিসেব-নিকেশ। একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ওয়েস্টমিনস্টার। ৬৫০ আসনের মধ্যে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত ৬২৫ আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। তাতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ ৩০২ লেবার পার্টি ২৫৬, এসএনপি ৩৪, লিবারেল ডেমোক্রেট ১২ ও অন্যান্য ২১ টি আসন লাভ করেছে। ফলে সরকার গঠনের মতো ৩২৬ টি আসন লাভে সক্ষম হচ্ছেনা বড় দুটি দল।

লেবার নেতা জেরেমি করবিন তার বিজয়ী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের কড়া সমালোচনা করে জনগনের প্রদত্ত রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জানিয়ে সরে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মে বলেছেন জাতীয় সংহতি জোরদার করার কথা। প্রতিপক্ষের শিবিরে হানা দিয়ে এ প্রযন্ত ২৮ টি আসন উদ্ধার করেছে করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। পক্ষান্তরে ক্ষমতাসীনরা হারিয়েছে ১১টি আসন। স্কটিশ ন্যাশনেলিস্ট পার্টি (এসএনপি) কে হারাতে হয়েছে ২০টির মতো আসন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ভোটার ছিলেন প্রায় ৪ কোটি ৯ লাখ। বৃটেনের পার্লামেন্টর নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের মোট ৬৫০ আসনের বিপরীতে এবার মোট ৬৮টি দল ও ১৯১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ২ হাজার ৩০৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ইংল্যান্ডে ৫৩৩, স্কটল্যান্ডে ৫৯, ওয়েলসে ৪০ এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডে ১৮টি আসন রয়েছে। সবগুলো আসনে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

দুই বছরের ব্যবধানে এটি যুক্তরাজ্যে তৃতীয় জাতীয় নির্বাচন। ২০১৫ সালে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ দল ৩৩০টি আসন পেয়ে এককভাবে ক্ষমতায় ফেরে। এরপর ২০১৬ সালের জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় গণভোট। ওই গণভোটে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইইউতে থাকার পক্ষে ছিলেন। জনগণ বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দিলে ক্যামেরন পরাজয় মেনে পদত্যাগ করেন। ফলে প্রধানমন্ত্রী হন থেরেসা মে। নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে থেরেসা মে ইচ্ছায় এই মধ্যবর্তী নির্বাচন। বৃটেনের গণমাধ্যম অবশ্য বলছে খেলায় হেরে গেলেন থেরেসে মে।

বৃটেনের এক্সিট পুল ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আভাস দিচ্ছে যা অনেকটা প্রায় নিশ্চিত। ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের দখল কার হাতে যাচ্ছে তা দেখার অপেক্ষায় বিনিদ্র বৃটেনের জনগন। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সুরাহা হবে বৃটেনের ভবিষ্যৎ রাজনীতি।

 

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১০৩০ঘ.)