আল-জাজিরা টিভির সেই ফুটেজটি চেয়েছেন হাইকোর্ট

আল-জাজিরা টিভির সেই ফুটেজটি চেয়েছেন হাইকোর্ট

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ফটোসাংবাদিক ড. শহিদুল আলমের সাক্ষাৎকারের ভিডিও ফুটেজ চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এই ফুটেজ আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই দিন শহিদুল আলমের জামিন নিয়ে জারি করা রুলের পরবর্তী শুনানি হবে।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।

আদালতে ড. শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় ফটোসাংবাদিক ড. শহিদুল আলমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

গত ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয়বারের মতো শহিদুল আলম হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেন।

গত ৪ সেপ্টেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় ফটোসাংবাদিক ড. শহিদুল আলমের জামিনের আবেদনের ওপর শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ।

গত ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় ফটোসাংবাদিক ড. শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ৬ আগস্ট রমনা থানায় করা মামলায় ড. শহিদুল আলমের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

ড. শহিদুল আলমকে ৬ আগস্ট বিকালে আদালতে হাজির করে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি ড. শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। রিমান্ড আবেদনে আরো বলা হয়, আসামি ড. শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯১৬ঘ.)