ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : সাংবাদিক ও শিক্ষক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন আইনজীবী সুশান্ত কুমার বসু।
বিচারক কে এম সাইফুর রহমান মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য ওয়ারী থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল জানান, গত ২২ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন আনিস আলমগীর তার ফেসবুক একাউন্টে একটি পোস্ট দেন, যাতে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে মন্তব্য করেন। এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত লাগায় বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, '(এক) কোনো ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ। (দুই) কোনো ব্যক্তি উপধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বছর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
এ বিষয়ে আনিস আলমগীর বলেন, এটা পাবলিশ করার সাথে সাথে আমি রিমুভ করে দিয়েছি। এছাড়া আমি ক্ষমা চেয়েছি। তিনি আরো বলেন, তারা (বাদী) নিজেদের নাম আসার জন্য এ মামলা করেছেন। সরকার চাচ্ছে না এটা নিয়ে কোনো ইস্যু হোক। তাছাড়া আমি ফেসবুকে এ নিয়ে পাল্টা বক্তব্য দিয়েছি।
গত ২৩ জানুয়ারি আনিস আলমগীর তার ফেসবুকে লেখেন, যে জিনিস আমি মিন করিনি সেটা বুঝে আপনি আহত হলে একবার কেন ১০০ বার ক্ষমা চাইতে দোষ নেই। তিনি আরো বলেন, ‘…একটু খোঁজ নিলেই জানতে পারতেন আমি নিজে ধার্মিক এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আমার বিদ্বেষ কোনো কালেই ছিল না, এতো হেইটের পরও থাকবে না। কারণ ধর্ম নিয়ে আমার কোনো বিজনেস নেই। আমি বিশ্বাস করি বিশেষ কোনো ধর্মের লোক হওয়ার মধ্যে কোনো বাহাদূরিও নেই। কারণ আমরা সিংহভাগ লোক জন্মগতভাবে পাওয়া ধর্ম পালন করছি।
(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৪০ঘ.)