মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানহানি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা রুজু করা হয়।

এজাহারে দুই হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্মান ক্ষুণ্ণ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান বাদী হয়ে আজ রোববার দুপুরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হক বসুনিয়ার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু। বিজ্ঞ বিচারক বাদীর পক্ষে আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর দণ্ডবিধির ১২৩(ক)/১২৪/৫০১/৫০২/৫০৫/১০৯ ধারায় এজাহার গ্রহণের জন্য কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু জানান, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টি নিয়ে নিন্দা, দেশের সার্বভৌমকে অস্বীকার করা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকী সম্পর্কে মিথ্যা ও মানহানিকর উক্তি প্রকাশ, প্রচার করায় বাদী একজন দেশপ্রেমিক ও সচেতন নাগরিক হিসাবে এ মামলা আনয়ন করেন।

বিজ্ঞ আদালতে বাদী পক্ষে আইনি সহযোগিতা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন, এ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির, এ্যাডভোকেট সাখওয়াত হোসেন, এ্যাডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল ও এ্যাডভোকেট সেলিম মিঞা সেতু।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়- আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান গত ০১/১২/১৭ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল (বিডিসি) কর্তৃক আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমর ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সরকার, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিথ্যা ও অশালীন বক্তব্য রাখেন। তা ইউ-টিউবের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা Hokkotha.com, Pcaceful TV, Breaking News, Bangladesh Affairs লিঙ্ক গুলোর মাধ্যমে প্রচার করা হয়। গত ৭ডিসেম্বর বিকালে কুড়িগ্রাম আইনজীবী ভবনে বসে বাদীর এ বক্তব্য দৃষ্টিগোচর হয়। মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ঐ সভায় বাংলাদেশকে ভারতের কলোনী উল্লেখে রাষ্ট্রের অস্তিত্ত্বকে অস্বীকার করেছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের গালিগালাজ করেছেন।

বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকী সম্পর্কে মিথ্যা ও মানহানিকর উক্তি এবং অসত্য ও অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন। মিথ্যা প্রচারণা দিয়ে সরকার ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা নিয়েছেন। দেশকে বিপদগ্রস্ত করে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার চেষ্টা করেছে আসামী। আসামীর হেন আচরণে বিক্ষুব্ধ হয়ে বাদী লুৎফর রহমান এ মামলা আনয়ন করেন। এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে-এ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, এ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, এ্যাডভোকেট জাহিদ আহমেদ কাজল, ও এ্যাডভোকেট লাবণী জহির লিজাকে।

আদালত আবেদন এজাহার হিসাবে গ্রহণ করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়ায় বাদী লুৎফর রহমান সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। বাদী এ মামলার আসামী মাহমুদুর রহমানকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১৭০০ঘ.)