কালের কণ্ঠের সম্পাদকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কালের কণ্ঠের সম্পাদকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনা, ৭ মে (জাস্ট নিউজ) : বরগুনার সংসদ সদস্য অ্যাভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদকসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। কালেরকণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে বাদীকে হেয় করার অভিযোগ এনে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করা হয়েছে।

সোমবার বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও তার ছেলে অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথ। আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের নামে সমন জারির নির্দেশ দেন।

মামলার বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের ধারার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগঠক, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন, এলাকার চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং একবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বর্তমানে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। একই সঙ্গে তার ছেলে সুনাম দেবনাথ একজন অ্যাডভোকেট ও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। কালের কণ্ঠ পত্রিকা স্থানীয় কয়েক জন রাজনীতিবিদের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে তার বিরুদ্ধে মানহানীকর খবর ছাপিয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই পত্রিকার হাজার হাজার কপি বাজারে ফ্রি বিতরণের মাধ্যমে বাদীর মর্যাদা ও সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। আইনের ধারায় এ ক্ষতি ১০ কোটি টাকা সমতুল্যের।

বিবরণে আরো বলা হয়, দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন, নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল, প্রকাশক এবং ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের ময়নাল হোসেন চৌধুরী পরিকল্পিতভাবে কালের কণ্ঠের ১১ মার্চ সংখ্যার ১ম পাতায় ছবিসহ ‘পারিবারিক লীগে শম্ভু ফুলে ফেঁপে’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করে। যা উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এ সংবাদে তার পরিবারসহ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার ছেলে সুনাম দেনাথকে জড়ানো হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

ব্যাপক প্রচারের জন্য এই প্রতিবেদনে মুদ্রিত হাজার হাজার কপি ১৩ মার্চ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এ বিষয় বাদী পক্ষ প্রতিবাদ পাঠালে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ যথাযথ মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিবরণে আরো বলা হয় সংবাদটি ছিল মানহানীকর। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট জগধিশ চন্দ্র শীল।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১৫৭ঘ.)